ঢাকা: বাংলাদেশে তো বটেই, দক্ষিণ এশিয়ারও অন্যতম সেরা শপিং মল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স। সারা বছর তো ভিড় আছেই, উৎসব-পার্বণে যেন এ মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
অন্যান্যবারের মতো এবারও রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই পুরোদমে জমে উঠে ঈদের কেনাকাটা। আর শেষ সপ্তাহে এসে তা পুরোপুরি জমজমাট। নানা সুবিধা আর সব জিনিস একসঙ্গে পাওয়ার জন্য এবারও দেশের বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে বসুন্ধরা শপিং মল।
এদিকে বিক্রেতারাও ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাকে সাজিয়েছেন তাদের ঈদ মার্কেট। তাই রমজানে ছুটির দিনের পাশাপাশি এ শেষ সপ্তাহে ক্রেতাদের উপেচে পড়া ভিড় চোখে পড়েছে মার্কেটে। সিটির প্রবেশ পথে এখন ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি।
ঈদকে ঘিরে ক্রেতা চাহিদা মাথায় রেখে বিক্রেতারাও এনেছে নানা ডিজাইনের সব বয়সীদের পোশাক। বাহারি কারুকাজ, হাতের নকশা, ব্লক, নানা রঙের কাপড়সহ বিভিন্ন রঙিন নতুন পোশাকে সেজেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। এসেছে নতুন নতুন কালেকশনও। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে ডিজাইনে আনা হয়েছে নতুনত্ব। আর বেশিরভাগ পোশাকই রাখা হয়েছে সুতির। গরমকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা এসব পোশাকের দামও রাখা হয়েছে ক্রেতার সাধ্যের মধ্যেই। বসুন্ধরা সিটির নিপুণ, সৃষ্টি, সাদাকালো, দেশাল, রঙ বাংলাদেশ, কে-ক্রাফট, অঞ্জন্স, জ্যোতি, প্লাস পয়েন্টসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। প্রতিটি শো-রুমেই এখন ক্রেতাদের ঘুরে ঘুরে পোশাক দেখার চিত্র দেখা যাচ্ছে। আবার পছন্দ হলে কিনছেনও।
ঈদের বাজারে পোশাকের কালেকশন ও দামের বিষয়ে ক্রেতারা জানান, বেশকিছু কালেকশন নতুন হয়েছে। এছাড়া কাপড়ের দামও ঠিক আছে, তেমন বেশি নয়। তাই পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনছেন তারা।
আরিফুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, এবার ঈদ তো গরমে। আর এখন তাপমাত্রাও অনেক বেশি। তাই এ গরমের মধ্যেই উৎসবে যেন ব্যবহার করতে পারি এমন বিষয়টা মাথায় রেখেই পোশাক খুঁজছি।
রোববার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে নুতন পোশাক কিনতে বিপণিবিতান ও বুটিক হাউসগুলোতে ভিড় করছেন সব বয়সী ক্রেতা। তবে দোকানিরা বলছেন, ক্রেতা উপস্থিতি সন্তোসজনক। ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের সঙ্গে বিক্রিও ভালো হবে বলে আশাবাদী তারা।
এ প্রসঙ্গে দীপ্তমণি ফ্যাশন হাউসের দীপ্ত চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, ক্রেতা আসছে। ঈদের বেচাকেনায় ভিড় আরও বাড়ার কথা। আমাদের এখানে ভারত, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। ঈদে এগুলোর ব্যাপক চাহিদা হয়। এখনও ক্রেতা আসছে। আগামী কয়েকদিনে বেচাকেনার ব্যস্ততা আরও বাড়বে বলে আশা করি।
রঙ বাংলাদেশের আউটলেট থেকে জানানো হয়, এবার আমাদের কালেকশনে ৭০ শতাংশ নতুন পোশাক। শিশুদের পোশাকে রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। আর আশা অনুরূপ বিক্রিও আছে।
দেশালের আউটলেটের কর্মকর্তারা বলেন, করোনাসহ বিভিন্ন কারণে গত দুই/তিন বছর সেভাবে বিক্রি হয়নি। এবার যেমন আশা ছিল তা হচ্ছে বলা যায়। আগামী কয়েকদিনে বিক্রি আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি