ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

গার্মেন্টস খাতের পাশাপাশি অন্য খাতেও এগিয়ে যেতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
গার্মেন্টস খাতের পাশাপাশি অন্য খাতেও এগিয়ে যেতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: ওষুধ ও তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের অগ্রতির কথা উল্লেখ করে অন্যান্য খাতেও এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেছেন, আমরা বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদন করছি৷ আমরা অনেকখানি নির্ভর করে আছি গার্মেন্টস আইটেমের উপর।

সেটি ঠিক রেখে অন্য খাতে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ট্রফি তুলে দেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আয়োজক সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম. আহসান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময়ে বলেন, সরকার ব্যবসা করবে না, সর্বোচ্চ সুবিধা দেবে ব্যবসায়ীদের। আমি আজকেও কিছু সমস্যার কথা শুনেছি, আমি আবারও যাবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।  আমাদের লেদার আইটেমও রপ্তানি হচ্ছে। আমাদের ইলেকট্রনিকস আইটেমের উপরও জোর দেওয়া দরকার।

তিনি বলেন, আমরা এ বছর ৭০টা আইটেমের উপর পদক দিচ্ছি। সফলতা তো আরও অনেক-অনেক বেশি। আরও যারা পান নি, তাতে কি আসে যায়। আজকে একজন পেয়েছেন, কাল আরেকজন পাবেন। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আপনারা দেশকে এগিয়ে যান এই প্রত্যাশা।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, রপ্তানির মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা দেশের রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাহছে। মাত্র ৫ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। সারা পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি চলছে কিন্তু তূলনামূলক বাংলাদেশ ভালো আছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বর্তমানে ২৮টি খাতে রপ্তানি ট্রফি দিচ্ছি। যদি প্রতিটা খাত থেকে ১ বিলিয়ন ডলার থেকে রপ্তানি আয় আসতো তাহলে রপ্তানির পরিমাণ অনেক বেড়ে যেতো। আমরা আমেরিকা বাদে অন্যান্য দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাই। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় একটা মার্কেট এক্সেসের সুযোগ।

বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নিয়োজিত কৃতি রপ্তানিকারকদের অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, রপ্তানি বৃদ্ধিতে উৎসাহিতকরণ এবং বহিঃবাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সুসংহতকরণের লক্ষ্যে অন্যান্য বছরের মতো ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জাতীয় রপ্তানি ট্রফি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় রপ্তানি ট্রফি নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ট্রফি নির্বাচনের জন্য মোট ৩২টি খাতের রপ্তানিকারকদের মধ্য হতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে অর্জিত রপ্তানি আয়ের ভিত্তিতে প্রাপ্ত ২৪৪টি আবেদন বাছাইয়ের পর যোগ্য খাতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮টি।

উক্ত অর্থবছরে জাহাজ ও মেলামাইন খাতে কোনো আবেদন পাওয়া যায়নি। চূড়ান্ত যাচাইয়ান্তে কয়েকটি খাত হতে কিছু আবেদন বাদ পড়ে। ২৮টি খাত হতে নীতিমালা অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে মনোনীত ৭০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৭টি ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়।

এছাড়াও সব খাতের মধ্য হতে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি শিরোনামে ১টি বিশেষ ট্রফি (স্বর্ণ) দেওয়া হয়।

২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ১৯৫.২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি এবং অন্যান্য সূচকে সক্ষমতা অর্জিত হওয়ায় পণ্য খাত নির্বিশেষে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সেল জিন্স লিমিটেড বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) লাভ করে।

উল্লেখ্য, প্রতিটি খাত থেকে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে যথাক্রমে ১টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য ও ১টি ব্রোঞ্জ ট্রফি দেওয়া হয়। তবে সব খাতে যথেষ্ট সংখ্যক আবেদন না থাকায় রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ ক্যাটেগরিতে ট্রফি প্রাপকের সংখ্যা কিছুটা কম হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি ট্রফিতে ব্যবহৃত স্বর্ণের পরিমাণ ২ ভরি (২২ ক্যারেট)। অন্যান্য ট্রফির প্রতিটিতে ১ ভরি করে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ ধাতু ব্যবহৃত হয়।

জাতীয় রপ্তানি ট্রফির মত উৎসাহমূলক কর্মসূচির ফলে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৬০.৯৬ বিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধির হার ছিল ১৪.১২%। এ বছর উল্লেখযোগ্য আয় অর্জিত হয় নিটওয়্যার (২৩.২১ বিলিয়ন), ওভেন পোশাক (১৯.৩৯ বিলিয়ন), হোম টেক্সটাইল (১৬.২১ বিলিয়ন), চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা (১.২৪ বিলিয়ন), কৃষিজাত পণ্য (১.১৬ বিলিয়ন), পাট ও পাটজাত দ্রব্য (১.১২ বিলিয়ন), প্রকৌশল দ্রব্যাদি (০.৭৯ বিলিয়ন) এবং হিমায়িত ও
জীবন্ত মাছ (০.৫৩ বিলিয়ন)।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এমকে/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।