ঢাকা: ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ সময়ে আমাদের মোট রপ্তানি ৩৫.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ছিল ৩১.৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান সময়ের জন্য রপ্তানিতে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.১৭ শতাংশ।
রোববার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মোট ৩৫.২৫ বিলিয়ন রপ্তানি আয়ের মধ্যে ৪৯.৯৬ শতাংশ ইইউ থেকে ১৭.৭৬ শতাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, ১০.৯১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে, ৩.০৯ শতাংশ কানাডা থেকে এবং ১৮.২৮ শতাংশ অপ্রচলিত বাজার থেকে এসেছে।
২০২২-২৩ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আমাদের পোশাক রপ্তানি ১১.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১৭.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২১-২২ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ সময়ে ছিল ১৫.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উল্লেখিত সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রপ্তানি পূর্ববর্তী অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যেখানে ফ্রান্স এবং স্পেনে রপ্তানি যথাক্রমে ২৫.২৩ শতাংশ এবং ১৮.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে পোল্যান্ডে রপ্তানি ১৪.৮৬ শতাংশ কমেছে।
উল্লিখিত সময়কালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে বছরওয়ারিভাবে ৫.০১ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়ে রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৬.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এছাড়াও যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় আমাদের রপ্তানি যথাক্রমে ১৪.০৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৩.৮৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১৭.৬৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পূর্ববর্তী ২০২১-২২ অর্থ বছরের জুলাই-মার্চ এর তুলনায় আমাদের পোশাক রপ্তানি ৩৪.৭৪ শতাংশ বেড়ে ৪.৭৮ বিলিয়ন থেকে ৬.৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলির মধ্যে, জাপান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ৪৩.৭৯ শতাংশ, ৫৮.৩৮ শতাংশ, ৪২.২২ শতাংশ, ৮২.৪৯ শতাংশ, ৭৩.১৫ শতাংশ এবং ৩৪.৬৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, বিজিএমইএ নতুন বাজার অনুসন্ধান নিয়ে কাজ করছে। পাশাপাশি আমরা ব্যবসায় গতিশীলতা আনয়ন ও সহজীকরণের জন্য নীতি সংস্কার নিয়ে কাজ করছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এবং নতুন সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য নতুন পণ্য এবং নতুন বাজারে আমাদের শিল্পের শক্তি ও সক্ষমতা বৈশ্বিক ক্রেতাদের (বিদ্যমান এবং নতুন) সামনে উপস্থাপন এবং হাইলাইট করার উপযুক্ত সময় এখনই। দীর্ঘমেয়াদে এটি আমাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এমকে/এমজেএফ