ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কানাডায় উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২৩
কানাডায় উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

ঢাকা: কানাডায় উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। এ লক্ষ্যে ঢাকাস্থ কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলাস বুধবার (৩ মে) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে তারা দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

এ সময় বাংলাদেশ কীভাবে কানাডার বাজারে পোশাক রপ্তানি, বিশেষ করে উচ্চ মূল্যের পোশাক রপ্তানি বাড়াতে পারে এবং উচ্চমূল্য সংযোজিত ও নন-কটন টেক্সটাইলসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়।

ফারুক হাসান তৈরি পোশাক শিল্পের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ, সুযোগ-সম্ভাবনা এবং সুযোগগুলো কাজে লাগানোর জন্য বিজিএমইএর চলমান নানা প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।

তিনি কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প যে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে তা তুলে ধরে বলেন যে, এই অর্জনগুলো অব্যাহত রাখতে বিজিএমইএ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও রেজিলিয়েন্ট সাপ্লাই চেইন তৈরি করতে নৈতিক ক্রয় অনুশীলন এবং ন্যায্য মূল্যের ওপর জোর দেন। যেখানে শ্রমিকদের অধিকার এবং কল্যাণের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।

বিজিএমইএ সভাপতি কানাডিয়ান হাইকমিশনারকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বিশ্বে নিরাপদ ও টেকসই পোশাকের সোর্সিং হাব হিসেবে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি ও বিশ্ব বাজারে এ খাতে প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে শিল্পের রূপকল্প ও প্রস্তুতি সম্পর্কেও অবহিত করেন।

বৈঠকে ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভবিষ্যত অগ্রাধিকারগুলোও তুলে ধরেন, যার মধ্যে রয়েছে মূল্য সংযোজিত পোশাক, বিশেষ করে নন-কটন এবং টেকনিক্যাল টেক্সটাইল দিয়ে প্রস্তুতকৃত পোশাকের দিকে শিল্পের স্থানান্তর এবং প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখার জন্য প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন, দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়ে জোর দেন।

তিনি জানান, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে জ্ঞান, দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞান দিয়ে আরও এগিয়ে যেতে এবং বিশ্ব বাজারে আরও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠতে সহায়তা করার জন্য বিজিএমইএ তার উত্তরাস্থ কমপ্লেক্সে একটি উদ্ভাবন, দক্ষতা এবং পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা কেন্দ্র (সিআইইওএসএইচ) প্রতিষ্ঠা করেছে।

তিনি বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউএফটি) শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা বিকাশে টেক্সটাইল, পোশাক, ফ্যাশন, ডিজাইন এবং ব্যবসা প্রভৃতি ক্ষেত্রগুলোতে হাইকমিশনারের মাধ্যমে কানাডার শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ইনস্টিটিউট এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সহযোগিতা কামনা করেন।

সেই সঙ্গে অর্থপূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমে আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও কানাডার বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে উচ্চ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, পরিচালক ব্যারিস্টার ভিদিয়া অমৃত খান, কানাডিয়ান হাইকমিশনের পলিটিক্যাল কাউন্সেলর ব্র্যাডলি কোটস এবং ট্রেড কমিশনার মো. কামাল উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২৩
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।