ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৮ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন এবং বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সোমবার (১২ জুন) বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য (এমপি) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

 এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।  

সোমবারের প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।  

টিপু মুনশি বলেন, দেশে চিনি ও পেঁয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০-২২ লাখ মেট্রিক টন ও ২৫-২৭ লাখ মেট্রিক টন। চিনি ও পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন ও ২৮ দশমিক ১১ লাখ মেট্রিক টন (প্রকৃত উৎপাদন প্রায় ৩৭,৪৯ লাখ মেট্রিক টন)। তন্মধ্যে প্রক্রিয়াজাত ক্ষতি বাদ দিয়ে অবশিষ্ট থাকে ২৮ দশমিক ১১ লাখ মেট্রিক টন)। চিনির দেশীয় উৎপাদন অতি নগণ্য হওয়ায় প্রায় ৯৯ শতাংশ চিনির চাহিদা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। দেশ বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। তবে আমদানি উন্মুক্ত না থাকলে স্থানীয় সরবরাহে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় স্থানীয় মূল্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমদানি উন্মুক্ত থাকলে ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই ২০২২ থেকে ২৭ মে ২০২৩) পর্যন্ত চিনি আমদানির এলসি ওপেনের পরিমাণ ১৬ দশমিক ৬৭ লাখ মে. টন এবং পেঁয়াজ আমদানির পরিমাণ ৫ দশমিক ৬৩ লাখ মে. টন। আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির মূল্য গত তিন মাসে প্রতি মে. টন প্রায় ১৬০ ডলার বেড়েছে। এছাড়া আমদানির ব্যয় নির্ধারণে ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের মূল্য গত এক বছরে প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।  অপরিশোধিত চিনি পরিশোধনে ব্যবহৃত কেমিক্যালের মূল্যও বেড়েছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বাড়ার কারণেও স্থানীয় বাজারে চিনির মূল্য বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও আংশিক আমদানি নির্ভরতা রয়েছে। আমদানি নির্ভরতা থাকায় পেঁয়াজের আমদানি মূল্য স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে থাকে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্যকে সুরক্ষা দেওয়ার নিমিত্ত সরকার পেঁয়াজ আমদানির জন্য ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) ইস্যু করা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। ভারতে চলতি বছরের পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হওয়ায় পেঁয়াজের মূল্য অনেকাংশে কমেছে। ওই মূল্যে পেঁয়াজ আমদানি হলে দেশীয় চাষিদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আইপি ইস্যু সাময়িক স্থগিত রেখেছে। যেহেতু স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে তাই মূল্য স্থিতিশীল রাখার কারণে আইপি ইস্যুর বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।