ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফরিদপুরে ৮০০ ছুঁয়েছে মরিচের দাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৩
ফরিদপুরে ৮০০ ছুঁয়েছে মরিচের দাম

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বিভিন্ন বাজারে কাঁচা মরিচের দাম হাঁকা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। বর্তমান বাজারে এক কেজি গরুর মাংসও ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তাইতো এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি করে এক কেজি মরিচ কেনা যাচ্ছে।  

জেলার পাইকারি আড়তে কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকা কেজি আর খুচরা বাজারে ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর শহরের ওয়ালি নেওয়াজ নামে এক খুচরা মরিচ ক্রেতা জানান, সকালে ফরিদপুর শহরের অম্বিকাপুর বাজারে যান মরিচ কিনতে। এ সময় একজন বিক্রেতার কাছে দাম জানতে চাইলে তিনি এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম চেয়েছেন ৮০০ টাকা। পাশের আরেকজন বিক্রেতা চেয়েছেন ৭০০ টাকা কেজি। এ অবস্থা দেখে শহরের হাজি শরিয়তুল্লাহ বাজারে চলে যান। সেখানে দাম জানতে চাইলে তার কাছে ৭০০ টাকা চাওয়া হয় এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম।

এদিকে, বাজারের আড়তে শনিবার এক কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি দরে ৫০০-৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছিল।

এ ব্যাপারে বোয়ালমারী বাজারের তরকারি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর পর্যন্ত এক কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে সাড়ে সাতশো থেকে আটশো টাকা করে।

মধুখালীর মেগচামী গ্রামের বাসিন্দা ইনামুল খন্দকার বলেন, পাইকারি বাজারে কৃষকেরা এক মণ কাঁচা মরিচ ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার ৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, এবার মৌসুমের শুরুতে প্রচণ্ড খরার কারণে মরিচের তেমন ফলন হয়নি। এরপর গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে কাঁচা মরিচের গাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষেতের গাছে এখন মরিচ নেই। এজন্য দাম বেড়ে গেছে।

মধুখালীর মেকচামী ইউনিয়নের বামুন্দি গ্রামের মরিচ চাষি উত্তম রায় বলেন, হঠাৎ করে এবার মরিচের দাম বাড়লেও অসাধু ব্যবসায়ীরা মুনাফা লুটছে। শনিবার (১ জুলাই) সকালে মধুখালী আড়তে নিয়ে ১৮ হাজার থেকে সাড়ে ১৮ হাজার টাকায় প্রতি মণ মরিচ বিক্রি করেছি। কৃষকের হাত ঘুরে কেজিতে কয়েকশ টাকা বেশি দামে পাইকারি বাজারে ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে মরিচ।  

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা সদরের মরিচ বাজারের আড়তদার মো. আলম বলেন, দফায় দফায় কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। শনিবার পাইকারি বাজারে ২০ হাজার টাকা দরে প্রতি মণ মরিচ কিনেছি। সে হিসাবে প্রতি কেজি পড়েছে ৫০০ টাকা। খুচরা বাজারে যে যেভাবে পারছেন মরিচ বিক্রি করছে। খুচরা ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এ ব্যাপারে জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোহেল শেখ বলেন, এ ব্যাপারে অনেকের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি কৃষি বিভাগের তদারকি করার কথা, কেন দাম বাড়ছে। আমাদের মাত্র একজন জনবল রয়েছে। তাও এখন চামড়ার বাজার নিয়ে ব্যস্ত। তারপরেও বাজারে খোঁজখবর নিয়ে দেখব। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।