ঢাকা: ভারত থেকে আমদানি শুরুর পর রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে কাঁচা মরিচের দাম। একদিনের ব্যবধানে কারওয়ান বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ২৪০ টাকা।
সোমবার (৩ জুলাই) কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে দুই ধরনের মরিচ।
অথচ একদিন আগেই এই বাজারের প্রতি কেজি দেশি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। অর্থাৎ, একদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের প্রতি কেজিতে দাম কমেছে ১৪০ থেকে ২৪০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, খরা ও অতিবৃষ্টির কারণে এবার কাঁচা মরিচের ফলনও কম হয়েছে, নষ্টও হয়েছে বেশি। তাই ঈদের আগে আগে কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেড়ে যায়। এখন ভারত থেকে আমদানি শুরুর পর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে আমদানি যদি বন্ধ করে দেয়, তাহলে আবার দাম বেড়ে যাবে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। তা না হলে গতকাল আমদানি শুরুর পর আজকেই অর্ধেকের বেশি দাম কমার কথা নয়। তাছাড়া আমদানি হয়েছে ভারতীয় মরিচ। তাহলে দেশি মরিচের দাম কমেছে কেন?
ওসমান গণি বাদশা নামের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, আমদানি বন্ধ থাকার সময় দেশি মরিচ দিয়েই চাহিদা মেটানো হতো। কিন্তু গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে মরিচের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বাজারে ঘাটতি থাকায় দাম বেড়েছে। এখন ভারত থেকে আমদানি শুরুর পর আবার দাম কমতে শুরু করেছে। তবে দাম একেবারে হাতের নাগালে আসতে এক-দেড় মাস সময় লাগবে।
বুলবুল আহমেদ বিশাল নামের এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, কাঁচা মরিচের সিন্ডিকেট হয় না। বৃষ্টির কারণে মরিচ নষ্ট হওয়ায় সরবরাহ কম ছিল। কৃষক যেখানে প্রতিদিন ১০০ কেজি মরিচ খেত থেকে তুলতেন, সেখানে বৃষ্টির কারণে তুলেছেন ২৫ কেজি। তাই বাজারে ঘাটতি দেখা দেয়। দামও বাড়ে। ৎ
মো. রিয়াজ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকঠাক মনিটরিং করে না বলে বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মালিক সমিতি। তারাই তাদের ইচ্ছামতো দাম বাড়ায়, কমায়। এই সিন্ডিকেটের কারণে কাঁচা মরিচের দাম এত বেড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৩
এসসি/এসআইএস