ঢাকা: বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার ৭২৮ কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
রাজস্ব আদায়ের তিন খাত হলো শুল্ক, আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট। বিদায়ী অর্থবছরে এই তিন খাতের মধ্যে বেশি কমেছে শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে। ডলার বাঁচাতে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপের কারণে কমে গেছে আমদানি। এর প্রভাবে শুল্ক আদায়ও কমেছে।
এনবিআর তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানির শুল্কে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা। ঘাটতির পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা।
আর আয়করে ঘাটতি হয়েছে ৯ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯২২ কোটি টাকা।
বিদায়ী বছরে মূল্য সংযোজন (মূসক বা ভ্যাট) থেকে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। আদায় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা। মূসকে ঘাটতি ১৬ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা।
২০২২-২৩ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য পূরণ না হলেও ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে বেশি আদায় হয়েছে। এনবিআর তথ্য বলছে, বিদায়ী অর্থবছরে শুল্ক বেড়েছে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, আয়কর বেড়েছে ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ এবং মূল্যসংযাজন কর বেড়েছে ১১ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিদায়ী অর্থবছরে দেশের অর্থনীতিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাত সহ্য করতে হচ্ছে। এ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে একদিকে যেমন সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়ে যায়, বাড়ে পরিবহন খরচও, সৃষ্টি হয় মূল্যস্ফীতি। এর প্রভাব পড়েছে উৎপাদন ও বিনিয়োগে। প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আগামী বছরে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে, যা রাজস্ব আদায়কে প্রলম্বিত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, জুলাই ২০২৩
জেডএ/আরএইচ