ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কেজিতে রসুনের দাম বাড়ল ২০-৪০ টাকা

সিনিয়র করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
কেজিতে রসুনের দাম বাড়ল ২০-৪০ টাকা

ঢাকা: সম্প্রতি বাজারে আলোচনায় সবার মনোযোগ কেড়েছে চিনি, কাঁচা ও পেঁয়াজ। এবার নতুন করে সেসব নিত্যপণ্যের সারিতে যুক্ত হলো রসুন।

বাজার ভেদে কেজি প্রতি রসুনের দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচা, ফার্মগেট ও  মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

ঈদুল আজহার আগে প্রতি কেজি আমদানি করা রসুনের দাম ছিল ১৮০ থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা। বড় ধরনের দেশি রসুনের কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। একই আমদানি করা বড় রসুনের প্রতি কেজির দাম উঠেছে ২৪০ টাকা। দেশি বড় ধরনের রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ২০০ টাকা। ছোট ১৫০ টাকার রসুন এখন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা পর্যন্ত। কেন দাম বেড়েছে, এ প্রশ্নের উত্তর কোনো খুচরা বাজারের বিক্রেতার কাছে নেই।

মিরপুর-১৪ নম্বর কচুক্ষেতে পাইকারি রসুন বাজারে  দেখা যায় প্রতি কেজি রসুন  ৭৭ থেকে ৮৫ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। একই বাজারে খুচরা প্রতি কেজি রসুনের দাম ৯০ টাকা। পাইকারি দেশি ছোট রসুনের কেজি ১৬৫ টাকা।  

রসুনের দামের পার্থক্যের কারণ জানতে চাইলে কচুক্ষেতের রহমান ট্রেডিংয়ের ম্যানেজার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ঈদের মধ্যে বন্দর বন্ধ থাকার কারণে রসুনের দাম বেড়ে গিয়েছিল। পাইকারি বাজারে এখন রসুনের দাম কমে আসছে। আস্তে আস্তে খুচরা বাজারেও দাম কমবে।

রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি ১৪০ টাকা। দেশি চিনি ও প্যকেট সাদা চিনির কেজি ১৫০ টাকা। ঈদের আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে চিনি রিফাইনারি মিল মালিকরা চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে কেজিতে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৪০ টাকা পৌঁছে যায়। এখনো সেই বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চিনি।

রাজধানীর মিস্টির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চিনির বাড়তি দাম আর চিনিতেই সীমাবদ্ধ নেই। চিনির দাম প্রসারিত হয়েছে মিষ্টি ও বিভিন্ন রকম বেকারি বিস্কুটে। এক মাস আগেও যেখানে প্রতি কেজি চমচমের দাম ছিল ৩৫০ টাকা। সেই চমচম বাজার ভেদে ৩৬০ থেকে ৩৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ২০ টাকা বাড়ায় কালোজাম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা।

মিরপুরের কাজীপাড়ার মিষ্টির দোকানদার সহিদুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, সব কিছুর দাম বেড়েছে। চিনি, আটা ও তেল আর আগের দামে পাওয়া যায় না। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। যদিও সেই হারে মিষ্টির দাম বাড়াতে পারিনি। মিষ্টি বিক্রি করা কঠিন হয়ে গেছে। মিষ্টির সঙ্গে অন্য কিছু বিক্রি না করলে এ ব্যবসায় আর টিকে থাকা যাচ্ছে না।  

চিনিসহ অন্যান্য উপকরণের দাম বাড়ার প্রভাবে মিষ্টির দাম বাড়ানো কথা জানালেন মিরপুর-১৪ এর কচুক্ষেতের আদিলুরও।

বর্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে কাঁচা মরিচের দাম উঠতে শুরু করে। ঈদের আগে এক লাফে  ৪০০ টাকাতে উঠে। ঈদের ছুটির সুযোগে মরিচের দাম দেশের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা ভেদে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত উঠে। ঈদের পর দেশের বাজারে আমদানি করা কাঁচামরিচ এলে কিছুটা কমলেও আবার ৪০০ টাকা উঠে। শুক্রবার রাজধানীর বাজার ও মরিচের ধরন ভেদে ৩২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুরের ১৩ নম্বর সেকশনের বাজারে দেখা যায়, আমদানি করা মরিচ প্রতি ২৫০ গ্রামের দাম ৮০ টাকা। দেশি মরিচের ২৫০ গ্রামের দাম ১০০ টাকা। একই মরিচ মিরপুরের কাজী পাড়াতে বিক্রি হতে দেখা গেছে যথাক্রমে ৮০ ও ৯০ টাকায়।  

শুক্রবার রাজধানীর বাজারে দেখা গেছে দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ধরণ ও বাজার ভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। আমদানি করা পেয়াজের প্রতি কেজির দাম ৪৫ থেকে বাজার ও ধরণ ভেদে ৫০ টাকা।

কচুক্ষেতের পাইকারি বাজারে প্রতিবেশী কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে আড়ৎ ভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আমদানি করা দেশি প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৩
জেডএ/জেএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।