ঢাকা: বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশের পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রতিপাদ্য ‘সোনায় বিনিয়োগ ভবিষ্যতের সঞ্চয়’।
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাজুসের সাবেক সভাপতি কাজী সিরাজুল ইসলাম, বাজুসের সাবেক সভাপতি ও উদযাপন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ডা. দীলিপ কুমার রায়, উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাজুসের সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ এবং বাজুসের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিজনেস এডিটর রহুল আমিন রাসেল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাজুসের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখায় সম্মাননা দেওয়া হয় ৭ জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন—সৈয়দ সামসুল আলম, কাজী সিরাজুল ইসলাম, সত্য রঞ্জন বহ্ম, জগদীশ চন্দ্র সরকার, আলাউদ্দিন আহমেদ, খবির উদ্দিন ও আব্দুল লায়েস। তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ সেজেছে বর্ণিল সাজে। দিনব্যাপী দেশের ৪০ হাজার জুয়েলার্স পরিবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সারা দেশে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, দর্শনীয় স্থানে ব্যানার ও পোস্টার ঝুলানো ও আলোকসজ্জা হয়েছে। সারা দেশে বাজুসের কমিটিগুলো কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন এবং আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বাজুস সূত্রে জানা গেছে, জুয়েলারি খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষ সম্পৃক্ত। সরকারের নীতি সহায়তা, সঠিকভাবে উৎসাহ ও কর প্রণোদনা পেলে এই শিল্প তৈরি পোশাকশিল্পের মতো দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
বাজুসের ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার বিকেল ৫টার পর ঢাকা মহানগরীর সকল জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে সংগঠনটি।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরে জুয়েলারি ব্যবসা করতে গিয়ে নিজেদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে ১৯৬৬ সালের ১৭ জুলাই বাজুস প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৫৭ বছর পূর্ণ করে ৫৮ বছরে পদার্পণ করছে বাজুস।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ