ঢাকা: বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশন (বিপিসি) কর্তৃক পাঁচ দেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ১৬ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
একই সঙ্গে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানিতে আইনি পরামর্শক দাতার ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (২৬ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বিপিসি কর্তৃক বিভিন্ন দেশের ৬টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান (পিটিটিটি থাইল্যান্ড, ইএনওসি আরব আমিরাত, পেট্রোচিনা চীন, বিএসপি ইন্দোনেশিয়া, পিটিএলসিএল মালয়েশিয়া, ও ইউনিপেক চীন) হতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর সময়ের জন্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ ১২ হাজার ৮৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকায় আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল) কর্তৃক এলএনজি সংক্রান্ত কার্যক্রমে সহায়তার জন্য লিগ্যাল কনসালট্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত মিস্টার ওয়েস্ট জুনিয়রকে অ্যামেন্ডমেন্ট -১ বাবদ অতিরিক্ত ১৩ কোটি ১৬ লাখ ১৯ হাজার ২১৪ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করে সংশোধিত চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন, কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম, পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মাওলা, উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র সভায় একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রস্তাবটি হলো- জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ কর্তৃক দেশের উত্তরোত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটানোর নিমিত্তে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে প্রণীত খসড়ার ‘ড্রাফট বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (PSC) ২০২৩’ নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
জিসিজি/এসএএইচ