ঢাকা: চরে কৃষি উৎপাদন খরচ কম। ফসলের গুণগত মান অনেক ভালো।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক নীতি-কৌশলে চরের অবস্থান’ শীর্ষক এক রাউন্ডটেবিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এই রাউন্ডটেবিল যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বগুড়া), সুইস কন্টাক্ট কর্তৃক বাস্তবায়িত এমফোরসি প্রকল্প এবং ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষিকাজসহ বিভিন্ন উৎপাদনমুখী কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে চরের নারীরাও এখন অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। চরের মানুষের উন্নয়নের জন্য যে নীতি-কৌশল আছে, সেখানে চরের মানুষের উন্নয়নে জাতীয় চর ফাউন্ডেশনের মাধ্যম প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে।
মূল প্রবন্ধে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ও মুজিব জলবায়ু প্রসপারিটি প্ল্যানে চরাঞ্চল যথেষ্ট গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার পেয়েছে। কিন্তু চরবাসী আর্থ-সামাজিকভাবে অন্যান্য এলাকার চেয়ে এখনও পিছিয়ে আছে। চরের মানুষ জীবিকার জন্য এখনও প্রধানত নির্ভর করছেন অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির ওপর।
তিনি আরও বলেন, চরাঞ্চলের অমিত সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সকল অংশীজনকে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। একইসঙ্গে চরবাসীর চাহিদাগুলোকে সামনে আনার কাজ অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে করে বাস্তবভিত্তিক ও সময়োচিত উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা যায়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগম। জাহিদ রহমানের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বগুড়ার মহাপরিচালক মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ