ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে থেকে মার্কিন ডলারে অর্থায়ন সুবিধা পাবে ১৮ বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রায় দীর্ঘমেয়াদি তহবিল ‘বাংলাদেশ ব্যাংক লং টার্ম ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটিজ (এলটিএফএফ)’ থেকে এ অর্থায়ন পাবে।
এ অর্থ ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ আট শতাংশ সুদ হারে বিতরণ করবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ব্যাংকগুলোর চুক্তি সই করেছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে এ ব্যাংকগুলোর চুক্তি সই হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার, নির্বাহী পরিচালক মো. আবুল বশর এবং দেব দুলাল রায়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা স্ব স্ব ব্যাংকের পক্ষে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে পরিচালক লিজা ফাহমিদা চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তিতে সই করা ১৮ ব্যাংক হলো মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক লিমিটেড, দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড, প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এবং ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি।
সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেটের (এসওএফআর) সঙ্গে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে এক দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ যোগ করে তহবিল পাবে ব্যাংক। এর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই শতাংশ যোগ করে গ্রাহক পর্যায়ে বিতরণ করা যাবে। একজন উদ্যোক্তা ১০ বছর মেয়াদে ঋণ নিলে ঋণের সর্বোচ্চ সুদের হার হবে আট দশমিক ৪৩ শতাংশ। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী (৬ আগস্ট) এসওএফআর রেট পাঁচ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ৫৬টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে তিন থেকে ১০ বছর মেয়াদে ২৭ কোটি ৩৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলারের ঋণ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান সফলভাবে সম্পূর্ণ ঋণ পরিশোধ করেছে এবং বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছে।
এ ঋণের বিপরীতে আদায় করা কিস্তির (আসল অর্থ) বর্তমান স্থিতিসহ ভবিষ্যতে প্রাপ্য কিস্তি থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অংশ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ রপ্তানিমুখী উৎপাদনশীল খাতে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য এ সুবিধা দেওয়া হবে।
এ তহবিল থেকে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫০ লাখ ডলার ও সিন্ডিকেট ঋণে এক কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থায়ন পাবে। এ ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১০ বছর, যার মধ্যে গ্রেস পিরিয়ড হবে সর্বোচ্চ এক বছর।
রপ্তানিমুখি শিল্পে এ ঋণ দেওয়া হবে। অংশগ্রহণকারী ব্যাংকসমূহের সহায়তায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিয়মিতভাবে এই ঋণের অফসাইট এবং অনসাইট মনিটরিং করা হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে ঋণের লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
জেডএ/এসআইএ