ঢাকা: বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বহুকাল ধরেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা।
শনিবার (অক্টোবর ১৪) বেলা ১২টায় রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে’র সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে এই আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এ সময় এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি শমী কায়সার ও পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মাহবুবুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য চলে আসছে। এক সময় চট্টগ্রাম থেকে নৌ-পথে ইয়াঙ্গুনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পন্ন হতো। কিন্তু বেশ কিছু কারণে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের হার কিছুটা কমে এসেছে। দুই দেশের সম্ভাবনাময় অনেক খাত থাকলেও সেই সুযোগ আমরা ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছি না।
রোহিঙ্গা সমস্যাসহ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করলে বাণিজ্যিকভাবে উভয় দেশই লাভবান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, তৈরি পোশাক, ওষুধ শিল্প, সিরামিক, পাট, চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যে বিশ্বব্যাপী দারুণ সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। মিয়ানমার বাংলাদেশ থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি চাল, পেঁয়াজ, মসলাসহ বিভিন্ন পণ্য মিয়ানমার থেকে আমদানি করতে পারে বাংলাদেশ।
এদেশের জ্বালানির চাহিদা পূরণে মিয়ানমার এগিয়ে আসতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছে। ১৯৭১ সালে যে পাঁচটি দেশ বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়, সেই পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি হল মিয়ানমার। দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে মিয়ানমার আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
এ সময় মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুর বিষয়ে মিয়ানমারের আগ্রহের কথাও জানান রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
এমকে/এসআইএ