ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজারে অস্বস্তি, আগের দামে মুরগি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
সবজির বাজারে অস্বস্তি, আগের দামে মুরগি

ঢাকা: সবজির বাজারে অস্বস্তি চলছে। সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

গ্রীষ্মকালীন সবজির কোনোটিই ৮০ টাকার নিচে বাজারে মিলছে না। মুরগি আগের সপ্তাহের দামে বিক্রি হলেও মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। পেঁপে ছাড়া সব সবজি প্রকারভেদে ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ২৪০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।  

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। প্রতিটি সবজির দাম কেজিতে ২০ টাকা ৫০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৪০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৪৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৮০ টাকা, শিম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা, পাকা টমেটো ১০০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ১০০ টাকা এবং গাজর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ৪০ টাকা, লাউ শাক ৬০ টাকা, মুলা শাক ২৫ টাকা, পালং শাক ৩০ টাকা, কলমি শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে শিমের পাল্লা (৫ কেজি) কিনেছিলাম ৮০০ টাকায়, সেটা আজ এক হাজার টাকা। করলা ৩০০ টাকা পাল্লা ছিল। আজ ভালো মানের করলা ৫০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।  

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

তালতলা বাজারে মুরগি বিক্রেতা মামুন বাংলানিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের দামেই ব্রয়লারসহ অন্যান্য মুরগি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।  

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি এক হাজার ৫০-এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

ইলিশ মাছ বিক্রি বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। এসব বাজারে চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা, রুপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৩
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।