ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমদানি আর শীতের বার্তা আলু-ডিমের বাজারে, কমেছে দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
আমদানি আর শীতের বার্তা আলু-ডিমের বাজারে, কমেছে দাম

ঢাকা: খুচরা বাজারে ডিমের হালি নেমেছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আলু মিলছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা, ফার্মগেট ও মোহাম্মদপুর এলাকার বাজার ঘুরে এ দাম সম্পর্কে জানা গেছে।

পাইকারি ডিম ও আলু বিক্রেতারা মনে করছেন, এ দুই পণ্যে আমদানি করা হচ্ছে বলেই দাম কমেছে। মিরপুর ১৩ নম্বর সেকশনে ১৫০ টাকায় ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে। আবার যেসব দোকানে মঙ্গলবার নতুন ডিম উঠেছে (আড়ৎ থেকে আনা বা পাইকারের সাপ্লাই), ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়।

আবার যারা দুয়েকদিন আগেই পাইকারি মার্কেট থেকে ডিম এনেছেন তারা বিক্রি করছেন দেড়শ টাকায়। হালি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।

১৩ নম্বর ছাড়াই মিরপুর ১১ ও মোহাম্মদপুর এলাকায় একই দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বরের পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, কম দামে কিনতে পারায় কম দামেই বিক্রি করতে পারছেন তারা। কেমন দাম কমেছে জানেন- প্রশ্নটি করলে ডিম বিক্রেতা আব্বাস বলেন, ভারত থেকে ডিম আসছে তাই। ওই দেশের ডিম তো আমাদের দেশের ডিমের চেয়ে ভালো হবে না। ডিমের সাইজগুলো ছোট।

শীত শুরু হচ্ছে হচ্ছে ভাব। এ মৌসুমে সাধারণত বাজারে ডিম বেশি পাওয়া যায়। সরবরাহ বাড়ায় তাই মৌসুমের শুরুতে ডিমের দাম কমেছে বলে মনে করেন অনেক ব্যবসায়ী।

এদিকে ডিমের দাম কম না বেশি এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই কম আয়ের মানুষের। আছিরন বেগম নামে এক ষাটোর্ধ নারী মিরপুর-১১ নম্বরের পাইকারি আড়তের সামনে রাখা ভাঙা ডিমের পাত্র থেকে তুলনামূলক কম ভাঙা ডিম খুঁজে বের করে আলাদা করে রাখছেন। দুয়েকদিন পরপর তিনি ভাঙা ডিম সংগ্রহ করেন। কম মূল্যে পাওয়া যায় বলেই আছিরন ভাঙা ডিম কেনেন। আয়ের ওপর ভিত্তি করেই যেহেতু নিম্ন আয়ের মানুষকে প্রোটিন ও কোলিন খেতে হয়; তাই এসব ডিমই তাদের ভরসা।

ডিমের পাশাপাশি আলুর দাম কমেছে বাজারে। খুচরা বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে। তিন-চারদিন আগে একই আলু বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন আলু ওঠা শুরু হয়েছে; নতুন সবজিও বাজারে এসেছে। এ জন্য হিমাগারের আলু বেশি করে ছাড়া শুরু হয়েছে। তা ছাড়া ভারত থেকে আলু আমদানিও শুরু হয়েছে; ইতোমধ্যে ঢাকার বাজারেও ঢুকেছে। এ দুই কারণে আলুর দাম কমে গেছে।

মিরপুর ১১ নম্বরের তাকওয়া আড়তের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ভারতের আলু এসেছে। পাইকারি প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছি। সোমবার ১০০ বস্তা এসেছিল, ৭০ বস্তা বিক্রি হয়েছে। আশপাশের আড়তে রাজশাহীর আলু ৩৯ থেকে ৪২ টাকা এবং বিক্রমপুরের আলু ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা পাইকারি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
জেডএ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।