ঢাকা, রবিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাথরঘাটায় বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ 

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী ও শফিকুল ইসলাম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২৩
পাথরঘাটায় বিএফডিসি ঘাটেই বিক্রি দেড় কোটি টাকার মাছ 

বরগুনা: দীর্ঘ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদী-সাগরে আবারও মাছ ধরা শুরু হয়েছে। এতে জেলেদের মাঝে যেমন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে তেমনি বাড়ছে সরকারের রাজস্ব আদায়।

নিষেধাজ্ঞা শেষে চার দিনেই শুধু বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮ হাজার টাকায়। এতে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৫ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতারণ কেন্দ্র পাথরঘাটা বিএফডিসির বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার।

তিনি জানান, ইলিশ রক্ষায় সাগরসহ সব নদ-নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার থেকে সোমবার চারদিনে পাথরঘাটা বিএফডিসিতে মোট ৫০ হাজার ৯৯০ কেজি মাছ ক্রয়-বিক্রয় হয়। এর মধ্যে ইলিশই বিক্রি হয়েছে ১৫ হাজার ২৩৯ কেজি ও অন্যান্য মাছ ৩৫ হাজার ৭১৫ কেজি। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮ হাজার টাকা। এতে সরকারের ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭৫ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।


পাথরঘাটা পদ্মা এলাকার জেলে হানিফ শিকদার বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগর ও নদীতে মাছ ধরা শুরু করলেও অন্যান্য মাছের তুলনায় এখনো কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরতে পারিনি। এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি তাতে মোটামুটি দাম পেয়েছি। এতে করে কিছুটা ধার দেনা পরিশোধ করতে পেরেছি। আশাকরি সামনে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পেয়ে সব ধার দেনাই পরিশোধ করতে পারব।

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসির বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে মাছ বিক্রি বেড়েছে আর তাই রাজস্ব আয়ও বাড়ছে।  এটি দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে।

এ প্রসঙ্গে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানার সুফল পেতে শুরু করেছেন জেলেরা। একই সঙ্গে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।