ঢাকা: বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক মালিক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, অর্ডার কম, তাই আমরা পোশাক কারখানায় নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলেছি। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে আবার নতুন নিয়োগদান করা হবে।
রোববার (১২ নভেম্বর) উত্তরাস্থ বিজিএমইএ অফিসে ‘পোশাক শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ও বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ফারুক হাসান বলেন, বিগত পাঁচ বছর ধরে শিল্পে একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে, যার জন্য আমরা আন্তর্জাতিকভাবে অভিনন্দনও পাচ্ছি। তবে অনেকেই আছেন, যারা আমাদের এই উন্নতিতে খুশি হতে পারছেন না। এই শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি যেকোনোভাবেই হোক বিঘ্নিত করতে চান। তবে শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টি হলে যারা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়বেন, তারা হলেন আমাদের এই শিল্পের প্রাণ আমাদের শ্রমিক ভাইবোনেরা।
তিনি বলেন, যেহেতু বর্তমানে পোশাকখাতে অনেক কারখানায় কাজ কম, ক্রেতারা নতুন করে অর্ডার দেওয়া বন্ধ রেখেছেন, তাই আমরা নতুন নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলেছি। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে আবার নতুন নিয়োগদান করা হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় শিল্পকে নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। এতে করে শিল্প ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। এ ধরনের কার্যক্রম দেশদ্রোহীতার শামিল। বলা হয়েছে ইপিলিয়ন কারখানায় তিন জন মারা গেছে, যা মোটেও সত্য নয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সরকারের প্রতি আমাদের একান্ত অনুরোধ, যারা এ ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, করোনা মহামারির কারণে দেশের মধ্যে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি। আর করোনা পরবর্তী সময়ে অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ৮৮৫টি পোশাক কারখানা বিজিএমইএ এর সদস্যপদ নিলেও কালের পরিক্রমায় তিন হাজার ৯৬৪টি সদস্য কারখানা বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধুমাত্র করোনা মহামারির কারণে ২০২০-২১ সালে বন্ধ হওয়া কারখানার সংখ্যা ৩১৭টি এবং পরবর্তীতে অন্যান্য কারণে প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে না পারার কারণে ২৬০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
এমকে/এসআইএ