ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের ৫ ধাপ উন্নতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের ৫ ধাপ উন্নতি

ঢাকা: অর্থপাচার বা মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। বাসেল অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ইনডেক্স-২০২৩ রিপোর্টে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভার্নেন্স বিশ্বের ১৫২টি দেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ করে গত ১৩ নভেম্বর এই ইনডেক্স প্রকাশ করে। ২০২২ সালের তথ্যের ওপর এটি তৈরি করা হয়েছে।

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের সূচকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অবস্থা হলো ৪৬ নম্বরে। আগের বছর ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল  ৪১ নম্বরে। নতুন সূচক মোতাবেক সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে রয়েছে—১. হাইতি, ২. শাদ, ৩. মিয়ানমার, ৪. কংগো। সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশ আইসল্যান্ড ১৫২তম।

এই সূচকে বাংলাদেশ ২০২২ সালেও ২০২১ সালের তুলনায় ৮ ধাপ উন্নতি করেছিল। তালিকায় চীন, যুষ্ট্ররাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যথাক্রমে ২৭, ১১৯ ও ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে।

রিপোর্টে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের সচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

এপিজি’র মিউচ্যুয়াল ইভালুয়েশেন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফ-এর ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং পাঁচটিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফ-এর ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে।

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক দ্য বাসেল ইনস্টিটিউট অন গভার্নেন্স গত ১২ বছর যাবৎ কোনো একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে সূচক নির্ধারণ করে থাকে। এগুলো হলো—ক. মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার পরিপালন (৬৫%); খ. ঘুষ ও দুর্নীতি (১০%); গ. আর্থিক সচ্ছতা ও মানদণ্ড (১০%); ঘ. সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা (৫%) এবং ঙ. আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকি (১০%)।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২৩
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।