ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্থবির হচ্ছে ব্যবসা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩
রাজনৈতিক অস্থিরতায় স্থবির হচ্ছে ব্যবসা

ঢাকা: করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছিল। নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা যুক্ত হয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে ধীরে ধীরে স্থবির করে তুলছে।

সামষ্টিক অর্থনীতির সব সূচক যেমন নেতিবাচক ধারায় চলছে, তেমনই খাতভিত্তিক ব্যবসার গতি কমছে। কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন, বিপণন, চাহিদা, রপ্তানি—সব ক্ষেত্রে নেতিবাচক ধারা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

ডলার সংকটে কমেছে কাঁচামাল ও পণ্য আমদানি। এতে শিল্পের কাঁচামাল ঘাটতিতে উৎপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে। অন্যদিকে উৎপাদন ঘাটতিতে রপ্তানি ও স্থানীয় বাজারে পণ্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও দুরবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।

গত ২৯ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির এক মাস পার হতে চলেছে। আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এ আন্দোলনের রেশ চলতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল বলছে। ফলে আরও দুই মাসের অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করে তুলবে।

বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ আরও ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

খাতভিত্তিক শিল্পকারখানায় উৎপাদন কমেছে গড়ে ৩০ শতাংশের মতো।  
মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষের ব্যয়ের চাপ বেড়েছে। ফলে কমছে পণ্যের চাহিদাও। তার প্রভাবও পড়ছে ব্যবসায়। বাণিজ্যের বিরূপ পরিস্থিতির কারণে সরকার রাজস্ব আয় তেমন বাড়াতে পারেনি।

বৈদেশিক ঋণ ও সহায়তা আশানুরূপ না পাওয়ায় সরকার ব্যয় সামলাতে স্থানীয় পর্যায়ে ধার করছে। নতুন বিনিয়োগ না আসায় কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এ অবস্থায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে দেশের অর্থনীতি ঝুঁকির মুখে আছে।  

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের মতে, ডলার সংকটে আগে থেকে চাপে আছেন ব্যবসায়ীরা। এখন হরতাল ও অবরোধের কারণে শিল্পকারখানার উৎপাদন ও সরবরাহে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দিনে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।  

অক্টোবরে রপ্তানি কমেছে ১৩.৬৫ শতাংশ
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, গত অক্টোবরে ২৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রপ্তানি হয়েছে। এ মাসে অনেক খাতেই রপ্তানি চিত্র নেতিবাচক। ২০২২ সালের অক্টোবরের চেয়ে চলতি বছরের অক্টোবরে রপ্তানি কমেছে ১৩.৬৫ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে ৩.৭৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি হয়েছে। ২০২২ সালের অক্টোবরের চেয়ে এটা ৫৯৪ মিলিয়ন ডলার কম।  

দেশে রপ্তানি আয়ে বড় ভূমিকা রাখছে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক খাত। এ খাতেই রপ্তানি কমেছে। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাত পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, মৎস্য, কৃষিপণ্যসহ বড় সব খাতেই রপ্তানি কমছে।

রপ্তানি কমে যাওয়ার বড় কারণ হিসেবে শীর্ষস্থানীয় বাজার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নে চাহিদা কমে যাওয়া এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবকে দায়ী করেছেন রপ্তানিকারকরা। রপ্তানির বড় খাত তৈরি পোশাকের কারখানাগুলোতে শ্রমিক আন্দোলনের নেতিবাচক প্রভাবও পড়েছে।

নিট পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, বৈশ্বিক সংকটে রপ্তানি কমছে, এটা ঠিক। তবে অক্টোবরে যে পরিমাণ রপ্তানি কমেছে আগামী মাসে তা আরও কমবে। একদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচি হরতাল ও অবরোধে অভ্যন্তরীণ পণ্য ও কাঁচামাল আনা-নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, অন্যদিকে গ্যাসের সংকট বেড়েছে। এতে উৎপাদনে স্থবিরতা আসছে।  

তিনি বলেন, গত ১৫ বছর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় রপ্তানি বেড়েছে। এখন অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়ায় ক্রেতাদের ক্রয় আদেশ কমে যাচ্ছে। বিদেশি ক্রেতারা অন্য দেশে চলে গেলে এ খাতের রপ্তানির বাজার ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।  

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে উৎপাদিত পণ্যের প্রধান বাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এ বাজারে তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের চাহিদা কমেছে। তা ছাড়া নতুন করে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও শ্রমিক অসন্তোষ উৎপাদন ব্যাহত করছে। এর ফলে রপ্তানিতে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

আমদানি এক-তৃতীয়াংশ কমেছে
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে এবার সেপ্টেম্বরে আমদানি এক-তৃতীয়াংশ বা ৩২.৩১ শতাংশ কমেছে। গত সেপ্টেম্বর মাসে আমদানি হয়েছে ৪.৪৩৯ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে ২.১১৯ বিলিয়ন ডলার কম।

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের চেয়ে আমদানি কমেছে ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে গত তিন মাসে আমদানি কমেছে ৫.৪৫৯ বিলিয়ন ডলার।

মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ডলার সংকটে আমদানি কম হলে রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে। স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কমলে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে।  

পিছিয়ে পড়ছে নির্মাণ খাত
অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব প্রথমেই দৃশ্যমান হয় অবকাঠামো খাতে। এ খাতে স্থবিরতা দেখা দিলে তার প্রভাব পড়ে ২৭০টি পশ্চাৎ সংযোগ শিল্পে।

আবাসন খাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব) সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, করোনার ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো পেছনে ফেলে দিয়েছে এ খাতকে। রাজনৈতিক অস্থিরতায় নির্মাণ খাতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। এ অবস্থায় রাজনীতিবিদদের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত।

আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, এ খাতে আমদানিনির্ভরতা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ইস্পাত, সিমেন্টের কাঁচামাল, পাথর—সবই প্রায় আমদানি করতে হয়। ডলারের দাম ৩৫ শতাংশ বাড়ার কারণে এ খাতে প্রায় সমপরিমাণ দাম বেড়েছে নির্মাণসামগ্রীর। এতে চুক্তি অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছে অবকাঠামো হস্তান্তর করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অনেক উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্প বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে বিক্রি কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। ফলে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বড় খাত—ইস্পাত, সিমেন্ট, পাথর, বালুসহ অন্যান্য উপকরণের চাহিদা কমে স্থবিরতা চলে আসছে।

ডলার সংকটের চাপে ইস্পাত খাত
ডলার সংকটে সম্প্রতি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি কমেছে। ১০৮টি অনুমোদিত শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মধ্যে বর্তমানে এক-তৃতীয়াংশ চালু আছে। কাঁচামাল সংকটে বাকি ইয়ার্ড বন্ধ আছে। এতে রড উৎপাদন কমে গেছে।  

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) তথ্য মতে, গত ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত আট হাজার টনের দুটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়েছে। এর আগে অক্টোবরে ৪৮ হাজার টনের ছয়টি ও সেপ্টেম্বরে ২১ হাজার টনের আটটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়। যদিও গত আগস্টে এক লাখ ৮১ হাজার টনের ২৬টি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়েছিল।

রাজনৈতিক অস্থিরতার বড় প্রভাব ইস্পাত খাতেও পড়েছে বলে জানান উদ্যোক্তারা। হরতাল-অবরোধের দিনগুলোতে বিক্রি খুবই কম হচ্ছে বলে জানান রাজধানীর ইংলিশ রোডের পাইকারি ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ।  

তিনি বলেন, আগের মাসগুলোর তুলনায় বেচাকেনা তিন ভাগের এক ভাগ হয়েছে।

বাংলাদেশ স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, কয়েক মাস ধরে ইস্পাত পণ্যের বিক্রি ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কম হয়েছে। নির্মাণ মৌসুম শুরু হওয়ায় কোম্পানিগুলো বিক্রি বাড়ার আশায় ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেই আশা পূরণ হবে বলে মনে হয় না।

সিমেন্ট খাতেও বিক্রি কম 
নির্মাণকাজ কমে যাওয়ায় সিমেন্টের চাহিদাও কমে গেছে। কমেছে সিমেন্টের উৎপাদনও। সরকারের অনেক প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি বা আংশিক বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সিমেন্ট উৎপাদন ও বিক্রি কমেছে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ।  

সিরামিক
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ইরফান উদ্দিন জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতায় সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। আগে থেকেই অর্থনৈতিক সংকটে বিক্রি কমছিল। এখন হরতাল-অবরোধ পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিয়েছে। সিরামিকপণ্যের চাহিদা এখন ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমে গেছে।  

প্লাস্টিক রপ্তানি ১৬.৬৫ শতাংশ কমেছে
অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি রপ্তানিতেও পিছিয়ে পড়ছে প্লাস্টিক খাত। কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ায় অগ্রাধিকার খাত প্লাস্টিকের রপ্তানি ১৬.৬৫ শতাংশ কমেছে।

বাংলাদেশ প্লাস্টিকদ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, তৈরি পোশাকে রপ্তানি কমলে প্লাস্টিক খাতেও প্রভাব পড়ে। পোশাক খাতের নানা অ্যাকসেসরিজ আমাদের উদ্যোক্তারা সরবরাহ করেন। এ খাতে ডলার সংকটে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজনৈতিক অস্থিরতায় সরবরাহব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

চামড়া খাত রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে
আগে থেকেই চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন ও বিপণন সংকটে ছিল। বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা সংকটাপন্ন অবস্থায় পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ লেদার অ্যান্ড লেদার গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, এ খাতে গত তিন বছরে নতুন বিনিয়োগ আসেনি। এ অবস্থা চলতে থাকলে বিদেশি ক্রেতাদেরও হারাতে হবে।

অস্থিরতার চাপে পচনশীল পণ্য মাছ
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পচনশীল পণ্য। হরতাল ও অবরোধের কারণে সময়মতো পণ্য সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে রপ্তানি আরো কমে যাবে।  

বিনিয়োগে ভাটা
বৈশ্বিক অস্থিরতায় ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ৩৫ শতাংশ। গত অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৭.১১ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিনিয়োগের পরিমাণ ৩.১৯৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরে ছিল ৩.৪৩৯ বিলিয়ন ডলার।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে নতুন বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে। বিদেশিরাও সংঘাতপূর্ণ দেশে বিনিয়োগ করতে চান না।

বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় নতুন কর্মসংস্থানও হচ্ছে না। ফলে বেকারত্ব যেমন বাড়ছে, তেমনই অন্য খাতের ঘাটতি পূরণেরও সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। বিনিয়োগ কমায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ইতিবাচক ধারা তৈরি হচ্ছে না।

সৌজন্য: দৈনিক কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।