ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফলের দাম বাড়ায়: ভোক্তার ডিজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীরা ফলের দাম বাড়ায়: ভোক্তার ডিজি

ঢাকা: পবিত্র রমজান মাসে ফলের চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেছেন, রমজান মাসে সাধারণত ফলের চাহিদা বৃদ্ধি পায়।

এ সুযোগে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ফলের মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক সংগ্রাম করে ব্যবসা করে থাকেন। তারা লাভ করবেন সেটা স্বাভাবিক। তবে সেটা যেন যৌক্তিক হয়।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন, খুচরা ও পাইকারি ফল ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ‘ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ বিষয়ে সচেতনতামূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় ভোক্তার ডিজি বলেন, ফল ক্রয়-বিক্রয়ে ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পাকা ভাউচার (ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানাসহ মুদ্রিত রশিদ) নিশ্চিত করতে হবে। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাকা ভাউচার নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। এছাড়াও খেজুরের ন্যায্যমূল্যে বিক্রয় ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ করা হবে।

তিনি ব্যবসায়ীদের পবিত্র রমজানে সীমিত লাভ করে ব্যবসা করাসহ ক্রেতাদের প্রতিশ্রুত ফল দেওয়া, মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা, বিলাসী ফলের চেয়ে রমজানে প্রয়োজনীয় ফল আমদানিতে গুরুত্ব দেওয়া ইত্যাদি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। পাশাপাশি খেজুর আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের খেজুরের বর্তমান মজুদ সম্পর্কে তথ্য প্রতিবেদন আকারে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর দেওয়ার নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, গত জুন মাসে জাতীয় বাজেটে সকল ধরনের খেজুর আমদানিতে যে শুল্কায়ন মূল্য ধরা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য থেকেও অস্বাভাবিক। এমনকি জাতীয় বাজেটে খেজুরকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। এছাড়াও খেজুরের শুল্কায়ন মূল্য দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেনসহ বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, ক্যাবের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুট ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিভিন্ন ফল ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।