ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনীতিতে গতি আনতে প্রয়োজন সংশোধনমূলক আর্থিক ব্যবস্থাপনা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
অর্থনীতিতে গতি আনতে প্রয়োজন সংশোধনমূলক আর্থিক ব্যবস্থাপনা

ঢাকা: ভূ-অর্থনৈতিক সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ অনেক উন্নয়নশীল অর্থনীতির চেয়ে বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। যদিও মুডিস’স ইনভেস্টর সার্ভিস বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং এবং দেশের অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে, তারপরেও ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনকে সামনে রেখে অর্থনীতিতে গতি আনতে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন।

 

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে একথা বলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে আমাদের অর্থনীতি বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে এবং যেকোন মূল্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বিশেষকরে খাদ্য মূল্যস্ফীতির বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করা একান্ত আবশ্যক। পণ্যের মূল্য কমিয়ে আনতে সংকোচনমূলক মুদ্রাানীতির সঙ্গে রাজস্ব নীতির সমন্বয় করা প্রয়োজন।  

তিনি আরো বলেন, আমাদের আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে নিয়ে আসা। এ ব্যাপারে যথাযথ এবং কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করেন সামীর সাত্তার। ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের নিকট হতে রেমিট্যান্স প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্য বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, সরকারকে অবশ্যই রপ্তানি বাজার বৈচিত্র্যকরণে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যাতে করে আমাদের প্রথাগত বাজার ও গতানুগতিক প্রথাগত পণ্যের বাইরেও সম্ভাবনাময় একাধিক বাজারে ভিন্ন ভিন্ন নতুন পণ্য রপ্তানি থেকে আয় বৃদ্ধি করা যায়।  

ব্যারিস্টার সাত্তার মনে করেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব আহরণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা উচিত। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষকরে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে কর অফিস খোলা এবং কর অফিসের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য একটি যথাযথ ম্যাপিং প্রয়োজন। রাজস্ব বাড়াতে অনানুষ্ঠানিক খাতকে যথাযথভাবে করের আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম নিশ্চিত করতে রাজস্ব বোর্ডের জনশক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সম্পূর্ণ অটোমেশনের মাধ্যমে করজাল বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে।  

এছাড়াও ব্যারিস্টার সাত্তার ক্রমবর্ধমান মন্দঋণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং খেলাপি ঋণ পুনরুদ্ধারের জন্য সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং খাতে কাঠামোগত সংষ্কারের উপর জোর দেন। সেইসঙ্গে, তিনি অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও নতুন সুযোগ সৃষ্টির ব্যাপারে আর্থিক খাতকে মসৃণভাবে চলার পথ সুগম করার উপর  গুরুত্বারোপ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৩
এসএমএকে/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।