ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজি-ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
সবজি-ব্রয়লার মুরগির দাম কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

ঢাকা: মহান স্বাধীনতা দিবসে সরকারি ছুটির দিনেও রাজধানীর বাজারগুলোতে সব ধরনের সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। পবিত্র রমজান মাসে চাহিদা কম থাকায় প্রতিটি সবজি কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

তবে তিনদিনের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। যদিও মাছের বাজার অপরিবর্তিত রয়েছে।  

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও তালতলা বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম ১০ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবারও দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়ার খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা ব্যবসায়ী আব্দুল খালেক।  

তিনি বলেন, দুদিন আগেও আমরা পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আজ দাম বাড়ায় ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।

এসব বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখী প্রতিকেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, খিরা ৬০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, পটল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, সাজনা ২০০ টাকা ও লাউ প্রতিপিস ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারগুলোতে প্রতিকেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতিপিস ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ব্রোকলি প্রতিপিস ৩০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা ও আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লেবুর হালি ২০ থেকে ৬০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, কলা হালি ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া বাজারগুলোতে লালশাক আঁটি ১৫ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে তিনদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির দাম ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে সোনালি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৪০ থেকে ৬৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর কলিজা ৭৫০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ টাকা ও খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১০৫০-১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে লাল ডিম ডজন ১২৫ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এদিন বাজারগুলোতে ৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা, শিং চাষের (আকারভেদে) প্রতিকেজি ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা, প্রতিকেজি রুই দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙাস ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৫০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি ১৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, পাঁচ মিশালি ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বাইম ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, দেশি কই ১০০০ টাকা, মেনি ৭০০ টাকা, শোল ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, বেলে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২৪
এসএমএকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।