ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫৫০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে শত শত ক্রেতার ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
৫৫০ টাকায় গরুর মাংস কিনতে শত শত ক্রেতার ভিড় গরুর মাংস কিনতে ক্রেতাদের দীর্ঘলাইন

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে ৫৫০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস ও একশ টাকায় এক ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ও ডিম কিনতে দীর্ঘ লাইনে শত শত নারী-পুরুষের উপচে ভিড় দেখা গেছে।

 এ সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে মাংস ও ডিম কিনে বাড়ি ফিরতে দেখা যায় অনেককে। ভর্তুকি মূল্যে এই মাংস ও ডিম বিক্রি করছে জেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে নগরের কাচারি এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়কে দেখা যায় মাংস কিনতে আসা নারী-পুরুষের দীর্ঘলাইন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পুরুষদের চেয়ে নারীদের সংখ্যা অনেক বেশি। সেই সঙ্গে মাংস কিনতে আসা ক্রেতাদের মধ্যে নিম্নবিত্তদের চেয়ে মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এ সময় সাংবাদিক দেখে লাইনে দাঁড়ানো অনেককেই মুখ লুকিয়ে নিতে দেখা গেছে।  
 
এ ঘটনাটি সড়কের উলটো পাশে মসজিদ গেইটে দাঁড়িয়ে থেকে অবলোকন করেছিলেন স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী। এ সময় কাছে ডেকে এক ক্রেতাকে তিনি বলেছিলেন, বাজারে মাছ-মাংসের দাম অনেক বেশি, মানুষের হাতে টাকায় পয়সা কম। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে কম দামে লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস কিনছে। এতে গরিবের চেয়ে মধ্যবিত্তরা বেশি।

জানা যায়, নিম্ন আয়ের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পবিত্র রমজান মাসে জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ যৌথভাবে ভর্তুকি মূল্য দিয়ে এই মাংস ও ডিম বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে বিক্রয় ও বিপণন কার্যক্রমে জেলা ডেউড়ি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন সহযোগিতা করছে।

জেলা ডেউড়ি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ২১ মার্চ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ দ্বিতীয় সপ্তাহে চারটি গরু জবাই করে ৮২৯ কেজি মাংস ও পাঁচ হাজার পিস ডিম বিক্রি করা হয়েছে।  

তবে লাইনে দাঁড়িয়েও অনেকে মাংস পায়নি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই মাংস না পেয়ে ফিরে গেছে, সবাইকে দেওয়া সম্ভব না। তবুও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এ কারণেই গত সপ্তাহের চেয়ে এই সপ্তাহে মাংস বিতরণের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও অনেকেই মাংস পায়নি, এই অবস্থা থাকবেই।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল জলিল বলেন, জেলা প্রশাসনের নিজস্ব তহবিল থেকে কিছু ভর্তুকি দিয়ে এবং সমাজের দানশীল ব্যক্তির সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রমজান মাসের প্রতি বুধবার ও বৃহস্পতিবার এই কার্যক্রম চলবে।  

প্রসঙ্গত, ২৬ মার্চ ভর্তুকি মূল্যে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরের টাউন হল মাঠে এই মাংস বিক্রি করার সময় শত শত লোকের হুড়াহুড়িতে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।