ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিউ মার্কেটে ভিড় বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি, এবার হিসাবি ক্রেতারা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
নিউ মার্কেটে ভিড় বাড়লেও বিক্রি বাড়েনি, এবার হিসাবি ক্রেতারা

ঢাকা: কদিন পরই ঈদুল ফিতর। ঈদ সামনে রেখে রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

তবে বিক্রি নিয়ে হতাশ দোকানিরা। আবার ক্রেতারা হতাশ পণ্যের নতুনত্ব ও বৈচিত্র্যের অভাব নিয়ে।  

ঈদ ঘিরে বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন দোকানিরা। নানা ডিজাইনের পোশাক শোভা পাচ্ছে দোকানগুলোতে। বিক্রেতারা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ভিড় বেড়েছে। তবে বিক্রি এখনো সেভাবে জমে ওঠেনি।  

তারা বলছেন, রমজানের দ্বিতীয়ার্ধে ঈদের বেচাকেনা বাড়লেও তা আশানুরূপ নয়। চাকরিজীবীরা বেতন-বোনাস পেলে বিক্রি বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, আগের চেয়ে পোশাকের দাম তেমন না বাড়লেও নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর বাজার চড়া। এ কারণে একটু হিসাব করে কিনছেন তারা। তা ছাড়া দোকানিরা নির্দিষ্ট দামের কম রাখছেন না।

রোববার (৩১ মার্চ) রাজধানীর নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, নুরজাহান শপিং কমপ্লেক্স, চাঁদনী চক সুপার মার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট ঘুরে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব জানা গেছে।

দেখা গেছে, বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, শাড়ি, জুতা, কসমেটিকস, বেল্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, পায়জামা, ব্যাগ, শিশুদের পোশাক, খেলনা কিনতে ভিড় করেন ক্রেতারা।  

বিপণিবিতানগুলোর পাশাপাশি ফুটপাতেও বিক্রি হয় নানা পোশাক, জুতা, কসমেটিকস। সেখান থেকেও কিনছেন অনেকে। বিক্রেতারা সুরে সুরে হাঁকিয়ে ক্রেতার নজর কাড়ার চেষ্টা করেন।

নিউ মার্কেটে কথা হয় হাবিব নামে একজনের সঙ্গে। তিনি শিশুকন্যা আনিকার জন্য পোশাক কিনতে আসেন। পরিবারের বাকিদের জন্যও পছন্দ হলে নেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, দাম খুব বেশি– এমনটা বলা যাবে না, তবে অন্যবারের তুলনায় বেশি।

আরকে ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক শাহজাহান মিয়া বলেন, ১০ রোজার পর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। তবে বিক্রি ততটা বাড়েনি। ঈদকে কেন্দ্র করে বেশি বিক্রির আশা থাকে। এ জন্য দোকানে অতিরিক্ত বিক্রয়কর্মীও রাখা হয়। আগামী দিনগুলোতে বিক্রি ভালো হতে পারে।

সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নীলক্ষেত মোড়সহ আশপাশের এলাকা ঘুরে ভিড় দেখা যায়। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা না থাকায় মূল সড়ক ধরেই হাঁটেন অনেকে।

মার্কেটগুলোতে নারী ক্রেতার আধিক্য চোখে পড়ে। বেশি ভিড় দেখা যায় শাড়ি, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন পোশাক, জুতা ও প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানগুলোতে।

চাঁদনী চকে ফেরদৌস শাড়ি’জের স্বত্বাধিকারী শাহ আলম বলেন, মানভেদে শাড়ির দাম বিভিন্ন রকম। ৫০০ থেকে ১০ হাজার টাকা দামের শাড়ি আছে আমাদের কাছে। বাজার এখনো জমেনি। ২০ রোজার পর জমবে।  

নূরজাহান শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় ছেলেদের শার্ট-প্যান্টের দোকান বেশি। দুই বন্ধুকে নিয়ে শপিং করতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাজ্জাদুর রহমান জানান, তিনি পাঞ্জাবি, পায়জামা ও জিনস প্যান্ট কিনবেন।
 
নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম শাহীন জানান, মানুষজন অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে এখানে কেনাকাটা করতে পারছেন। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা তারা নিয়েছেন। সার্বক্ষণিক মার্কেট দেখভাল করা হচ্ছে। তবে মাসের মাঝামাঝি সময় হওয়ার কারণে এখনো অনেকে কেনাকাটা শুরু করেননি। মাস শেষে বেতন পাওয়ার পর ক্রেতা বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
এইচএমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।