চাঁদপুর: পদ্মা-মেঘনা নদীতে দুই মাসের মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শেষে চারদিন পার হলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না জেলেরা। ইলিশ সরবরাহ কম থাকায় দেশের অন্যতম চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশন মাছঘাটে এখনও জমে উঠেনি কেনাবেচা।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে মাছঘাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর এ সময় প্রতিদিন গড়ে ৫০-১০০ মণ ইলিশ চাঁদপুরের প্রধান মৎস্য আড়তে বেচাকেনা হতো। আর এবছর প্রতিদিন ১০-১৫ মণ ইলিশ সরবরাহ হচ্ছে। জেলেদের জালে ধরা ইলিশ চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে নিয়ে এলে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে কর্মব্যস্ততা বাড়ে। তবে এবার সেই চিত্র ভিন্ন। মাছ কম থাক হাঁকডাক নেই আড়তে এবং নীরব সময় কাটছে তাদের।
চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর ইলিশ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কয়েক জেলার ইলিশ ট্রলার ও ট্রাকে করে ঘাটে নিয়ে আসতো বিগত বছরগুলোতে। কিন্তু এ বছর ইলিশ কম পাওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের কোনো ইলিশ ঘাটে আসছে না।
মাছঘাটে আসা চাঁদপুর সদরের জেলে ইদ্রিস শেখ বলেন, নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ কম। নদীতে স্রোত ও পানি কম থাকলে ইলিশ জালে ওঠে না। ভোর থেকে জাল ফেলে দুপুর পর্যন্ত তেলের খরচ ওঠে না। এভাবে চললে আমাদের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।
ক্রেতা রনি দেওয়ান জানান, ইলিশ খুব কম, তারপর আবার দাম বেশি। গত বছরও একই অবস্থা ছিল। আগে বিভিন্ন ধরনের মাছ এই আড়তে পাওয়া যেত। কিন্তু এখন তাও পাওয়া যায় না। মাছ কই যায়, এটি নিয়ে কেউ ভাবছে না। দায়িত্ব অবহেলা সব জায়গায়।
মাছঘাটের ইলিশ ব্যবসায়ী রুবেল গাজী বলেন, এই মৌসুমে ইলিশ একেবারেই কম, যা আসে তা দিয়ে বেচাকেনা চলে না এবং ক্রেতার চাহিদাও মিটে না। নদীর ইলিশ কম থাকায় দাম বেশি। বর্তমানে মাছঘাটে এখন এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকা। ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা। আর ছোট আকারের ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের ইলিশ প্রতিকেজি ১ হাজার ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে। ইলিশের পুরোপুরি মৌসুম শুরু হলে দাম কমার সম্ভাবনার কথা জানালেন এই ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৪
এসআরএস