ঢাকা: তারল্য ও আস্থা সংকটের কারণে ক্লান্তিকাল পার করছে দেশের পুঁজিবাজার। চলতি বছরের শুরু থেকেই অস্থিরতা বিরাজ করছে দেশের পুঁজিবাজারে।
গত ৫ মাসে (১ জানুয়ারি-৩১ মে) সূচক ও লেনদেনের বড় পতন দেখা দিয়েছে দেশের পুঁজিবাজারে। এ সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক ৯৯৫ পয়েন্ট এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্য সূচক দুই হাজার ৭৩৮ পয়েন্ট বেড়েছে। একইসঙ্গে গড় লেনদেন ও বাজার মূলধনেও বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, নতুন বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারি ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। গত ৫ মাসে (৩১ মে পর্যন্ত) ডিএসইর সূচক ৯৯৫ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২৫১ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
ডিএসই অন্য সূচকের মধ্যে শরিয়াহ্ সূচক ২২১ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২১৯ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১৪৩ ও ১৮৭৪ পয়েন্ট অবস্থান করছে। এসময়ের মধ্য বাজার মূলধন ও গড় লেনদেন কমেছে।
১ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮০ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। ৫ মাসে (৩১ মে পর্যন্ত) সেটি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিএসইর বাজার মূলধন এক লাখ ৩১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা কমেছে।
শুধু ডিএসই নয়, ৫ মাসে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৩ হাজার ৪৪৮ পয়েন্ট। ১ জানুয়ারি সিএসইর সার্বিক সূচক ছিল ১৮ হাজার ৫২০ পয়েন্ট ৩১ মে পর্যন্ত এটি কমে ১৫ হাজার ৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে ফ্লোর প্রাইস, সুদহার বৃদ্ধি, টাকার অবমূল্যায়ন, ফোর্সড সেল, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আয় কমে যাওয়া ও বিদেশিদের শেয়ার বিক্রির মতো বিষয়গুলো পুঁজিবাজারে দরপতনের পেছনে কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
তাদের মতে, বেশকিছু সময় ধরে পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম ও লেনদেন কমছে। ফলে বাজার মূলধনও কমে গেছে। বিনিয়োগকারীরা বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছেন। বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব বলে বাজারে গতি ফিরবে এবং বাজার মূলধনও বাড়বে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছেন, এটি বাস্তবায়ন হলে ঘুরে দাঁড়াবে দেশের পুঁজিবাজার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৪
এসএমএকে/এএটি