ঢাকা: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডিজিটাল ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
বৃহস্পতিবার (০৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আর্থিক খাতে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ২৫ অক্টোবর দুটি ডিজিটাল ব্যাংকের অনুকূলে লেটার অব ইনটেন্ট দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল ব্যাংকের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাইজেশন কাজ চলছে। ইতোমধ্যে লেনদেনে আধুনিক ছোঁয়া লেগেছে। লেনদেনে এখন প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে। মানুষ ঘরে বসেই লেনদেন করছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকার আগামী ২০২৭ সাল নাগাদ ৭০ শতাংশ লেনদেন পেপারলেস করতে চায়।
২০৪১ নাগাদ শতভাগ পেপারলেস লেনদেনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এ বাজেট বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।
বাংলাদেশ সময় ১৮৫৬ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
জেডএ/আরএইচ