ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফেনীতে মুরগির দাম কমলেও চড়া ডিম-সবজি-মসলার বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
ফেনীতে মুরগির দাম কমলেও চড়া ডিম-সবজি-মসলার বাজার

ফেনী: দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। আর একদিন পরেই ত্যাগের মহিমা নিয়ে আসছে ঈদ।

ঈদকে ঘিরে নাড়াচাড়া নিয়ে উঠেছে পণ্যের বাজার। অধিকাংশ পণ্যের দামই বাড়তির দিকে।

ফেনীর বাজারে কমেছে মোরগ-মুরগির দাম, বেড়েছে ডিম ও সবজির। আজকের বাজারে ব্রয়লার খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা কেজি। যা গত তিনদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। লাল লেয়ার ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি। ৩০ টাকা কমে সোনালি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়।

অপরদিকে বেড়েই চলেছে ডিমের দাম। দুদিন আগে যে ডিম পিস প্রতি ১২ টাকায় আজ তা বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা। প্রতি পিসে বেড়েছে এক টাকা ৫০ পয়সা। হালিতে বেড়েছে ছয় টাকা। ডজনে বেড়েছে ১৮ টাকা। বাজারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ডিমের দাম বাড়ে। সরবরাহ বেশি থাকলেও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে খুচরা বিক্রেতা কিংবা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কিছুই করার থাকে না।

ফেনী সুলতান মাহমুদ পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, বড় বড় খামারিরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায়। দাম কম থাকলেও বিক্রি হয় বেশি দামে। এ বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকার যদি তেজগাঁও বাজার, কাপ্তান বাজার ও কারওয়ান বাজারে নিয়মিত নজরদারি এবং বাজার মনিটরিং করে তাহলেই ডিমের দাম কমে যায়। এ তিন স্থান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় দাম ও সিন্ডিকেট।

বাজারে বাড়তি সবজির দামও। সব রকমের সবজির কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। টমেটো ২০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, শসা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, বরবটি ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা। চিচিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা, পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, পটল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পাঁচ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। শুক্রবার (১৪ জুন) যে কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। আজ তা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কম। তারা বেশি দামে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করছে।

ফরহাদ হোসেন নামে এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা বেশি দামে কিনেছি সেকারণে বেশি দামেই বিক্রি করছি। অপরদিকে ক্রেতারা বলেন, এভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকলে তাদের প্রাত্যহিক জীবন আরও অসহনীয় হয়ে উঠবে।

মাছ ও গরু মাংসের বাজার স্থিতিশীল আছে। বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ঈদুল আজহাকে ঘিরে বেড়েছে মসলার দাম। বিক্রেতারা বলছেন, আমদানি করতে হয় বেশি দামে। পাইকারিতে বেশি দামে কেনার  কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ক্রেতার কাছে কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই।

প্রস্তাবিত বাজেটে মসলা পণ্যে এক শতাংশ উৎস কর কমানো হয়েছে। যেখানে আগে ছিল দুই শতাংশ। এর প্রভাব পড়েনি ফেনীর বাজারে। বরং বেড়েছে দাম।

ফেনী বড় বাজারে আজ ভারতীয় জিরা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা। তুর্কি জিরা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা, এলাচ বিক্রি হচ্ছে তিন হাজার ৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৭০০ টাকা, দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫৫০ টাকা, লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৭৫০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা। বেড়েছে ৫০ টাকা। প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৯০ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। বেড়েছে হলুদ, মরিচ, ধনিয়াসহ বাকি মসলার দামও।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।