ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। শেষ মুহূর্তে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে গরুর সংকট দেখা দিয়েছে।
রোববার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর দিয়াবাড়ী ও গাবতলীর গরুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে রাজধানীর দিয়াবাড়ী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, সকালের দিকে হাটে গরু থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পশু শূন্য হতে থাকে। বিকেলের দিকে দামের কারণে ক্রেতারা গরু না কিনেই হাট ছাড়েন।
এ ব্যাপারে মিরপুর শেওড়াপাড়া থেকে দিয়াবাড়ীর হাটে গরু কিনতে আসা কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এখানে কম দামে গরু কিনতে পারবো ভেবে এসেছিলাম। কিন্তু অস্বাভাবিক দামের কারণে গরু না কিনেই চলে যাচ্ছি। দেখি গাবতলীর হাটে গিয়ে গরু কিনতে না পারলে একটা ছাগল কোরবানি দেব।
গতকাল যে গরুটি এক লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ দেখছি সেই রকম গরু এক লাখ ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেপারিরা সুযোগ নিচ্ছেন বলে জানালেন উত্তরা থেকে গরু কিনতে আসা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আতিকুর রহমান। তিনি বলেন, এখানে ক্রেতার চেয়ে গরু সংখ্যা নেই বললে চলে তাই বেপারিরা বেপরোয়া দাম চাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে গাবতলীর গরুর হাটে। তবে স্থায়ী হাট হওয়ায় গরু পর্যাপ্ত থাকলেও বাজার চড়া। একাধিকবার দামাদামি করেও গরু কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক সন্ধ্যা থেকে বাড়তে থাকায় বেপারিরা সুযোগ নিচ্ছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ গরুর বাজারে একটি দালাল চক্র গরুর দাম বাড়াচ্ছেন। এতে করে বেপারিরাও ফায়দা লুটছেন।
অন্যদিকে, গরুর বাজার ভালো হওয়ায় বেপারিদের চোখে মুখে আনন্দ দেখা গেছেন। তারা বলেছেন, এবছর আমরা গরুর ভালো দাম পেয়েছি। এতে করে আগামীতে খামারির সংখ্যা অনেক বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে আসা গরুর বেপারি মো. রুবেল বলেন, চারটি গরু নিয়ে এসেছিলাম। একটি রয়ে গেছে তিনটি ভালো দামে বিক্রি করেছি। এটিও চলে যাবে, এরকম বাজার থাকলে আগামীতে ৮ থেকে ১০টি গরু তৈরি করে নিয়ে আসবো বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২৪
এসএমএকে/আরআইএস