ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জুন ২০২৪, ১৯ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানি বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
রপ্তানি বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী 

ঢাকা: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, রপ্তানি বাড়াতে আমদানির বিকল্প নেই। যত কম মূল্য সংযোজন হোক, এই ভ্যালু চেইনটা যদি তৈরি করতে পারলেই এখানে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।  

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি: বিবর্তন, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

টিসিবি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইন্সটিটিউটের (বিএফটিআই) কনফারেন্স রুমে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)।  

সেমিনারে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পণ্য রপ্তানির থেকে বেশি কর্মসংস্থানের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। আমরা কত টাকার পণ্য আমদানি করলাম, কত টাকার পণ্য রপ্তানি করলাম, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা আমরা কত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলাম। আমরা যত বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবো, তত আমাদের মূল্য সংযোজন হবে।  

তিনি আরো বলেন, আমরা একাধিক দেশের সঙ্গে ইকোনমিক পার্টনারশিপ নিয়ে কাজ করছি, রিজিওনাল কানেকটিভিটি নিয়ে কাজ করছি। এই মুহূর্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রায় ২৬টি দেশের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে কাজ করছে। আমরা সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রচার করছি। কিন্তু সেইভাবে আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছি না। তাই আমাদের এফটিএ-এর মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। আমরা এই বছর লজেস্টিক পলিসি লঞ্চ করেছি। এটাকে কীভাবে আমরা গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের সঙ্গে যোগ করতে পারি সেটি নিয়ে কাজ করতে হবে।  

অনেকগুলো প্রোডাক্ট ডাইভারসিফিকেশন করতে হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারে দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন, যেভাবে তৈরি পোশাক খাত সুবিধা পাচ্ছে, একইভাবে চামড়া ও পাট শিল্পও যেন সুবিধা পায়। আমরা আমাদের জনশক্তিকে যদি কাজে লাগাতে পারি এবং চামড়া ও পাট শিল্পকে যদি আমরা উন্নত করতে পারি, তাহলে আমরা আরো এগিয়ে যেতে পারবো।  

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এক সময় আমাদের চা এবং পাট ছাড়া কোনো রপ্তানিযোগ্য পণ্য ছিল না। সে জায়গা থেকে আমরা উত্তরণ করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছি। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের বাণিজ্যের জন্য ইলেক্ট্রনিকস পণ্য একটি বড় খাত হতে পারে। এটি শুধু অভ্যন্তরীণ চাহিদা নয়, বিদেশে রপ্তানিরও একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত।  

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সিনিয়র সচিব) ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুব আলম।  

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জাইদি সাত্তার। এর ওপর আলোচনা করেন বিএফটিআই এর সিইও ড. জাফর উদ্দিন, বিল্ডের সিইও ফৈরদৌস আরা বেগম ও ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২৪
এসসি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।