ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিম-মুরগির দাম কমিয়ে আনা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪
ডিম-মুরগির দাম কমিয়ে আনা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা কথা বলছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

ঢাকা: ডিম, মুরগির দাম উৎপাদক ও ভোক্তা পর্যায়ে কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।  

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে ডিম ও মুরগির উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়েছে।

উৎপাদন স্বাভাবিক গতিতে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি পোল্ট্রিখাতের ব্যবসায়ীরা দিয়েছেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পোল্ট্রি খাতসংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে তিনি এ কথা জানান।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ব্যবসায়ীদের আমরা যদি উজ্জীবিত না করতে পারি, তাহলে আমাদের সত্যিকারের উন্নয়ন হবে না। সেজন্য আমার প্রায় সব খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি। এর মধ্যে আমরা নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, বিশেষ করে পোল্ট্রিখাতের ডিম-মুরগি ও এর বাচ্চার দাম কিভাবে কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, দেশের ছোট-বড় উৎপাদক থেকে শুরু করে বিপণনকারীদের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা জানিয়েছেন পোল্ট্রি উৎপাদন পর্যায়ে কিছুটা সমস্যা আছে। তারপর বড় উৎপাদনকারীরা বলেছেন তারা উৎপাদন এখন বাড়াবেন। আর বিপণন পর্যায়ে আমরা বলেছি, উৎপাদন খরচের বাইরে অস্বাভাবিক মুনাফা করা যাবে না। উৎপাদনকারী ও ভোক্তার মধ্যে দামের বিরাট ব্যবধান থাকবে না। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, তারা এ বিষয়টা দেখবে।

উৎপাদক পর্যায়ে ১৮৫ টাকার সোনালি মুরগি ঢাকায় ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এমন বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এখন থেকে নিয়মিত পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। ভোক্তা অধিকার ও প্রতিযোগিতা কমিশন বাজার মনিটরিং করবে। উৎপাদনকারীরা বলেছেন তারা উৎপাদন বাড়াবেন। আবার বিপণনেরও কিছু মিস ম্যানেজমেন্ট রয়েছে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

ডিম ও পোল্ট্রি খাতের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে কি করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের স্বভাব হয়ে গেছে, তারা একটু বাড়তি মুনাফার চেষ্টা করে সবসময়। কথায় আছে না, ইলিশের মতো, ধরা কঠিন। পিছলে যাচ্ছে। এখন থেকে এগুলো ধরা সম্ভব হবে।

ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বেশি সমস্যা হলে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে সেটি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করবে। ট্যারিফ কমিশন আছে, তাদের সহযোগিতা নিতে পারে।

এ সময় বাণিজ্য সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল হকসহ দেশের পোল্ট্রি খাতের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০১, ২০২৪
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।