ঢাকা: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ডিম উৎপাদনকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বুধবার রাতে কাপ্তান বাজার ও তেজগাঁও বাজারে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে। ডিম বাজারজাতকরণে মধ্যসত্ত্বভোগী বা স্তর কমানোর উদ্যোগ হিসেবে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরাই এসব ডিম আড়তদারদের কাছে পৌঁছে দেবে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন পোলট্রি শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান।
ডিম পাইকারি বাজারে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে পাইকারি বাজারে প্রতিটি ডিম বিক্রি করা হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। এরপর সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি হবে। এর ফলে ডিমের বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকর করা হবে বলে মনে করছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাজার সংশ্লিষ্টরা।
অন্যদিকে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডিমের দাম ও সরবরাহ নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডিমের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতা ও সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে ডিম উৎপাদনকারী বড় কোম্পানি ও ছোট খামারিরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম পাঠাবে। এর মাঝে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। আর এটা বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে।
উৎপাদনকারীদের এই উদ্যোগের ফলে মধ্যসত্ত্বভোগীর সংখ্যা কমবে। বাজারে কমবে ডিমের দাম।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ