ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এনটিসির চা বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪
এনটিসির চা বাগানগুলোতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি। ছবি: বাংলানিউজ  

মৌলভীবাজার: বকেয়া মজুরির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চা শ্রমিকরা। এর ফলে বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে অচলাবস্থা।

 

সোমবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি এনটিসির ১২টি চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন।

এর আগে, রোববার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এনটিসির বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিক নেতারা বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আজ থেকে এই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন।  

চা-শ্রমিকদের ভাষ্য, শ্রমিকদের পাঁচ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে। মজুরি না পেয়ে অর্থকষ্ট নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন তারা। মালিকপক্ষ বকেয়া মজুরি পরিশোধ না করলে তারা কাজে ফিরবেন না।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন জানায়, সারাদেশে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১৬ টি চা-বাগান রয়েছে। এসব বাগানে প্রায় ১৭ হাজার চা-শ্রমিক কাজ করেন। তাদের ওপর আরো ৩০ হাজার মানুষের ভরণপোষণ নির্ভর করে।

এনটিসির মহাব্যবস্থাপক এমদাদুল হক জানান, শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পরিচালনা পর্ষদ পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠন না হওয়ার কারণে কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে সমস্যা হচ্ছে।  

তারা আশা করছেন, শিগগিরই পরিচালনা পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে এবং শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করতে পারবেন।  

‘এখন চা-বাগানগুলোতে উৎপাদনের সময়। এখন যদি শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যান, তাহলে অনেক ক্ষতি হবে’ বলে জানান মহাব্যবস্থাপক।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল বাংলানিউজকে বলেন, এনটিসির চা শ্রমিকদের এই কর্মবিরতির কর্মসূচিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। ছয় সপ্তাহ ধরে বাগানগুলোতে শ্রমিকদের পেমেন্ট নাই (টাকা দেওয়া হচ্ছে না)। তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডেও কোনো টাকা জমা হচ্ছে না। অনেক অসুস্থ শ্রমিক চিকিৎসাও করাতে পরছেন না।

তিনি আরো বলেন, দুর্গাপূজার আগে আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে বসেছিলাম। তারপর দুর্গাপূজার বোনাস দেওয়া হয়েছিল। শ্রমিক প্রতি ৫ হাজার ৩৬০ টাকা করে পুরাতন চুক্তির পূজার বোনাস দিয়েছিল। কিন্তু চার সপ্তাহের যে পেমেন্ট ডিও (মজুরি বাকি) ছিল সেগুলো পূজার পরে দেবে বলেছিল, কিন্তু দেইনি।  

চার সপ্তাহে প্রতি শ্রমিকের মজুরি প্রায় চার হাজারের ওপরে। এখন তো ছয় সপ্তাহ চলছে। এখন তো ছয় হাজার টাকার ওপরে হবে বলেও জানান তিনি।  

দুর্গাপূজার ঠিক পরের সপ্তাহ থেকে এনটিসির চা বাগানগুলোতে শ্রমিকদের পেমেন্ট পুরোপুরি বন্ধ বলে জানান নিপেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২৪ 
বিবিবি/এসআইএস                            
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।