ঢাকা: বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পে সহায়তার লক্ষ্যে জেড-জেন বায়োটেক নামে একটি কোম্পানি যাত্রা শুরু করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশানে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেড-জেন কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং টেক্সাস এঅ্যান্ডএম স্কুল অব মেডিসিনের অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন, ডিরেক্টর মো. রুহুল আমিন, ড্রাগ ইন্টারন্যাশনালের জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুল ইসলাম, গণস্বাস্থ্য বেসিক কেমিক্যালস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার এবিএম জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জেড-জেনের চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের বাংলাদেশে অনেক ট্যালেন্টেড লোক আছে, তারপরেও বিশ্বব্যাপী আমাদের এক্সপোজার কম। আমি কয়েক বছর থেকেই চেষ্টা করছি ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া, আরএনডিসহ ওষুধ শিল্পে যারা বিশ্বব্যাপী কাজ করছেন, তারা যেন দেশের এই শিল্পে অংশগ্রহণ বাড়াতে পারেন, কাজ করতে পারেন বিশেষত যে কাজগুলোতে আমরা অন্যদেশের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথম কোভিডের যে কিট গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি করেছিল, সেটার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আমার দ্বারা হয়েছিল।
ড. নাসির আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া এবং এনআরবি সবাইকে এক জায়গায় এনে কাজ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমরা নিজেরাই বায়োসিমিলার প্রোডাক্ট এবং ওষুধ শিল্পের সব কিছুই দেশে ডেভেলপ করতে পারব। বিদেশের ওপর নির্ভরশীল হতে হবে না। জেড-জেন কোম্পানির মাধ্যমে সবার সাথে মিলে দেশের জন্য কাজ করতে চাই, আপনাদের সবার সহযোগিতা দরকার।
অনুষ্ঠানে জেড যেন কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ১০ বছরে বিশ্বব্যাপী জেনেরিক প্রোডাক্ট না থাকার সম্ভাবনাই বেশি, সব কিছুই বায়োটেক প্রোডাক্টে কনভার্ট হয়ে যাবে। সেই হিসেবে বাংলাদেশের যে ফার্মা সেক্টর, তারাও বায়োটেক প্রোডাক্ট তৈরি করছে। এই পণ্য তৈরি করতে তারা যে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে, যেমন উৎপাদন ক্ষমতা, সেললাইন ম্যানেজমেন্ট, রি-এজেন্ট ম্যানেজমেন্ট, রি-এজেন্ট পিউরিটি এসব ক্ষেত্রে তারা সঠিক চ্যানেল পাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এগুলো বাংলাদেশের কোনো কোম্পানি ক্রয় করতে পারে না, অন্য দেশের মাধ্যমে ক্রয় করতে হয়। জেড-জেন কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. মো. নাসির উদ্দিনের এই সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা ৩০ বছরের বেশি। তিনি তার মেধা, জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা দিয়ে দেশের ওষুধ শিল্পে ফর্মুলেটেড এবং এনালাইসিস রিলেটেড সমস্যাগুলো সমাধান করার চেষ্টা করবেন, এটাই আমাদের কোম্পানির লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২৪
আরকেআর/এমজেএফ