ঢাকা: শিল্পের অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ ছাড়াই হঠাৎ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছেন শিল্প মালিকরা। এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শিল্পের জন্য আত্মঘাতী।
শ্রম অসন্তোষ হবে। এতে দেশের অর্থনীতি টেকসই হওয়ার বদলে একটা চাঁদাবাজির মডেলে রূপান্তর হবে।
কেননা উদ্যোক্তারা যখন গ্যাসের দাম কমার আশা করছিলেন, তখন গ্যাসের দাম বাড়ানোর ফলে শিল্পের ইউটিলিটি ব্যয় বাড়বে। ফলে বিদ্যমান ভঙ্গুর অর্থনীতিতে কোনো মিল-কারখানা টেকসই হবে না।
তাই সরকারকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ব্যবসা সহায়ক উদ্যোগ নিতে হবে। এ ছাড়া শিল্পের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির এমন উদ্যোগে পতিত সরকার আর অন্তর্বর্তী সরকারের চরিত্র একই ধরনের হয়ে যাচ্ছে।
তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতের শিল্প সবচেয়ে বড় ভোক্তা। ফলে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল।
প্রতিযোগী দেশগুলো যেখানে শিল্প সুরক্ষায় প্রণোদনা দিচ্ছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট খাতের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। এটা অনেকটা দেশের শিল্পের সঙ্গে ষড়যন্ত্র এবং আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
দেশের রপ্তানিতে বড় অংশীদার বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প। দেশি-বিদেশি নানা চক্রান্তে কোনো কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে বেতনের সমস্যা রয়েছে। তার ওপর গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা যোগ হলে শিল্পকারখানা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
তাই গ্যাস সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারকে অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে। গ্যাসের এমন সংকট চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ হবে। শ্রমিকরা কাজ হারাবেন।
প্রস্তাবিত গ্যাসের দাম শিল্পের জন্য খুবই কঠিন হবে। রপ্তানিমুখী শিল্পকে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকিয়ে রাখতে হলে গ্যাসে মুনাফা করার কোনো সুযোগ নেই সরকারের। গ্যাসনির্ভর স্থানীয় কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়বে।
লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা,জানুয়ারি, ০৮,২০২৫
এসআইএস