ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ চৈত্র ১৪৩১, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিয়োগ সম্মেলন ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বিশেষ সহকারী তাইয়েবের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২৫
বিনিয়োগ সম্মেলন ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ বিশেষ সহকারী তাইয়েবের

ঢাকা: দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু চক্র ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ।

সোমবার (০৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এ অভিযোগ করেন।

ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ লিখেছেন, “দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সামিট শুরু হয়েছে। আজ কোরিয়ান ইপিজেডসহ ২ ইপিজেড পরিদর্শন করেছেন প্রায় ৬০ দেশের বিনিয়োগকারী। ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটের প্রথম দিনে ছিল বাংলাদেশ স্টার্টআপ কানেক্ট প্রোগ্রাম। এতে প্রায় ১৫০০-এর বেশি দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছেন। ১৫টি ফোকাসড হাই কোয়ালিটি সেশন হয়েছে। ২৫টি দেশের উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের পার্টিসিপেশন তাতে ছিল। ”

“প্রথম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ৮০০ কোটি টাকার ফান্ড অব ফান্ড মবিলাইজেশনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিডা চেয়ারম্যান বিনিয়োগ সহজীকরণের জন্য ব্যবসাসহজীকরণের ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি এসেছে, আজ এবং আগামী কোনো সরকার যাতে ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে সেজন্য যাবতীয় পদক্ষেপের ঘোষণা। এসেছে ব্যবসা বান্ধব ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট-এর ঘোষণা। ”

তিনি আরও বলেন, “রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইপিজেডগুলোতে যখন বিনিয়োগকারদের পদচারণা চলছে তখন কিছু অসাধুচক্র দেশি-বিদেশি স্টার্টআপ এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটালদের ফোন করে সামিট বয়কটের অনুরোধ জানিয়েছেন—এরকম খবর এসেছে।

সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, গতকাল রাতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে উদ্যোক্তা এবং বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাতে গেলে সেখানে একজন উদ্যোক্তা সরাসরি আমার কাছে এসে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। সেখানে আরও দুজন বলেছেন, তাদেরও বয়কটের অভিযোগ করা হয়েছে। আজকে যখন অত্যন্ত সফল এবং আশা জাগানিয়া একটা প্রোগ্রাম হয়েছে, ঠিক তখনই শুরু হয়েছে স্টার্টআপ বাংলাদেশের ইতোমধ্যেই নোটিশ দেওয়া কর্মকর্তাকে নিয়ে হইচই। প্রোগ্রামটির সাফল্য নিয়ে যারা দুই কলম লিখতে পারল না, এ কাজটা তারাই করছে। ”

ফাইজ় তাইয়েব আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের একটা পরিচিত স্টার্টআপের এক টক্সিক মালিক এই কাজটা করছেন। আমরা এদেরকে সাবধান করছি, প্রয়োজনে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এর বাইরে দুঃখজনকভাবে আজকে বাংলাদেশের দুই-একটি জায়গায় শপিংমল দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই, আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে।

আমরা যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কাজ করছি, আমাদের মোরাল অনেক হাই, মনোবল অত্যন্ত দৃঢ়, দেশের তরে কাজ করার জন্য আমরা সংকল্পবদ্ধ। তাই এ ধরনের নাশকতামূলক কাজ, গোষ্ঠী ও ব্যক্তি স্বার্থকেন্দ্রিক প্রচারণা দিয়ে আমাদের চলার পথকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। ”

বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২৫
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।