ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘যারা করফাঁকিবাজ রিটার্ন জমা দেন না তাদের ধরা হবে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:৩৮, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
‘যারা করফাঁকিবাজ রিটার্ন জমা দেন না তাদের ধরা হবে’ আবদুর রহমান খান

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেছেন, বিজনেস পিপলকে মেরে ফেলা যাবে না। কেননা তারা ভালো না থাকলে তো সরকারও ভালো চলবে না।

এজন্য বিজনেস পিপলদের ভালো রাখতে হবে।  

তিনি বলেন, যারা করখেলাপি, করফাঁকিবাজ এবং কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকা সত্ত্বেও রিটার্ন জমা দেন না, তাদের ধরা হবে। এবারের বাজেটেও আমরা এ বিষয়গুলোকে ফোকাস করব। আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম। এ ক্ষেত্রে ইউরোপ-আমেরিকার মতো সম্মানজনক কোনো অবস্থান আমাদের নেই। এটা ৭ বা ৮ শতাংশ খুবই কম। এটাকে আমরা একটা মিনিয়াম রেটে নিতে চাই। এজন্য রাজস্ব বাড়াতে যেমন করফাঁকিবাজদের ধরা হবে। একইভাবে যাদের টিআইএন আছে কিন্তু রিটার্ন জমা দেননি, তাদের নোটিস করা হচ্ছে। আমরা বলব, তারা যেন এটলিস্ট রিটার্ন জমা দেন।

গতকাল(২৯ এপ্রিল) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ইআরএফ ও ফরেন ইনভেন্টর চেম্বার অ্যান্ড কমার্সের (ফিকি) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি দৌলত আকতার মালা, পরিচালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী মাশরুর রিয়াজ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফিকির নির্বাহী পরিচালক টি আই এম নুরুর কবির।

আবদুর রহমান খান বলেন, ব্যয় কমিয়ে আয় বাড়িয়ে ব্যালান্স করা হবে। বাজেটের সাইজটা হবে বাস্তবভিত্তিক। আমরা দেখছি প্রতিটা খরচ ঠিকঠাক করা হয় কি না। তাহলে বাজেটের সাইজটা আরও বাস্তবিক হতো। ট্যাক্স-জিডিপি রেশিওটা কোনো সভ্য দেশের মতো নয়। আমরা সেটাকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। কেননা, ইউরোপের দেশগুলোতে এটা ৪৫ শতাংশ। সেখানে আমাদের মাত্র ৭ বা ৮ শতাংশ।

মাশরুর রিয়াজ বলেন, এখন গ্রোথ কত হবে সেটা বিষয় নয়। বিষয়টা হলো অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো আমরা কতটা মিট করতে পারছি। বিনিয়োগ পরিস্থিতি কতটা এগোতে পারছি। গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সাপ্লাই না থাকায় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটাকে স্বাভাবিক করতে হবে। অন্যথায় তো আমরা বিনিয়োগ পাব না। আবার যারা বিনিয়োগ করেছেন তাদেরও ধরে রাখতে পারব না। এখন আমাদের ৫-৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেতে হবে সেটা নয়, এটা এখন ৩/৪ হলেও চলবে। আমাদের প্রায়োরিটি হলো মূল্যস্ফীতি কমানো। সেটাকে ৭ বা সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসতেই হবে। বিশেষ করে ফুড ইনফ্লেশনটা। এটা অবশ্য কিছুটা কমতে শুরু করেছে।

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।