ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার পরামর্শ এফবিসিসিআইয়ের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:০২, এপ্রিল ৩০, ২০২৫
করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার পরামর্শ এফবিসিসিআইয়ের সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: করমুক্ত আয়সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করার পরামর্শ দিয়েছে ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান এ পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, আয়কর ও মূসকের আওতা সম্প্রসারণ করে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়াতে হবে। ট্যাক্স-জিডিপির অনুপাত বাড়াতে আয়কর বাড়াতে হবে। সক্ষম করদাতা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলক আয়কর ও মূসক নিবন্ধনের আওতায় এনে কর জিডিপি অনুপাত বাড়ানো সম্ভব।

সভায় বেনাপোল স্থলবন্দর ব্যবহার করে সুতা আমদানির সুযোগ দেওয়ার দাবি জানানা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, রিসাইকেল ফাইবার নীতি সহায়তা দিতে হবে। এটা করা গেলে সাত বিলিয়ন ডলারের ব্যবসার প্রসার ঘটতো।

পাড়ার ছোট দোকান থেকে পাড়ার মাস্তান চাঁদা তোলে। কিন্তু সরকার কর আদায় করতে পারে না। প্রয়োজনে বিন নম্বর না দিয়ে নিবন্ধনের আওতায় এনে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর দাবি জানান ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজীব চৌধুরী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দীন আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি দাওয়া ইতিবাচকভাবে দেখা হচ্ছে, যা আগামী বাজেটে প্রতিফলিত হবে। কর বেয়াতের যুগ শেষ হয়ে গেছে। এখন রাজস্ব আদায় বাড়াতে হবে। ট্যাক্স না দিলে সেবা দেওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, সরকারের সেবার বিষয়টি একটি সার্বজনীন বিষয়। ট্যাক্স দেওয়া মানে শুধু নিজের বাড়ির সামনে বাতি জ্বলা বা পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার বিষয় না। নিজের বাড়ির পাশাপাশি অন্যের বাড়ির সামনে আলো, পানি নিশ্চিত করাসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।

উপদেষ্টা জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানিতে আরোপিত ৩৭ শতাংশ কর ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। পুরোপুরি কমানোর জন্য আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে আরও ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। সভায় অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

জেডএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।