বেসরকারি চাকরিজীবীদের বার্ষিক বেতন থেকেই মূলত করযোগ্য আয় নির্ধারণ করা হয়। তবে হাউস রেন্ট, চিকিৎসা ভাতা, যাতায়াত ভাতা ইত্যাদি কিছু খরচ বেতনের আয় থেকে বাদ দেওয়া যায়।
এবারের বাজেটে বেসরকারি চাকরিজীবীদের করযোগ্য আয় পরিগণনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বাদযোগ্য অংকের পরিমাণ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হতে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবকালে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ্উদ্দিন আহমেদ এ প্রস্তাব করেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন বেসরকারি চাকরিজীবীর বার্ষিক বেতন ১০ লাখ টাকা হলে তার মধ্যে হাউস রেন্ট, চিকিৎসা ভাতা ইত্যাদি মিলে ৬ লাখ টাকা বাদযোগ্য। আগে সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যেত। কিন্তু এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বাদ দেওয়া যাবে।
অর্থউপদেষ্টা বাজেট প্রস্তাবকালে বলেন, কর পরিপালন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠায় অর্থ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর মাধ্যমে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এগুলো হলো- ন্যূনতম করের কারণে কোনো করদাতাকে নিয়মিত করের যে পরিমাণ অতিরিক্ত কর প্রদান করতে হয় তা পরবর্তী করবর্ষসমূহে সমন্বয় করার সুযোগ থাকবে।
কৃষি উৎপাদনকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কোনো স্বাভাবিক ব্যক্তির “কৃষি হইতে আয়” অনধিক ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত রাখা হয়েছে।
চাকরিরত কর্মচারীগণের কিডনি, লিভার, ক্যান্সার, হার্টের চিকিৎসার পাশাপাশি মস্তিস্কে অস্ত্রোপচার ও কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত চিকিৎসা ব্যয় বাবদ প্রাপ্ত অর্থ করমুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয় এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সর্বজনীন পেনশন স্কিম হতে প্রাপ্ত সুবিধাভোগীর কোনো আয় এবং জিরো কুপন ইসলামিক ইনভেস্টমেন্ট সার্টিফিকেট হতে উদ্ভূত আয় করমুক্ত করা হয়েছে।
জেডএ/এমএম