ঢাকা: দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে আন্তর্জাতিক কোটেশনের মাধ্যমে স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার। সিঙ্গাপুরের থেকে এ এলএনজি কিনতে ব্যয় হবে ৫৬৯ কোটি ২৯ হাজার ৩৬৩ টাকা।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি'র ২৪তম সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, হরমুজের কারণে কোনো প্রভাব পড়েনি। যুদ্ধের ভেতরেও জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে সাশ্রয় হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে যে দাম ছিল সেটা, যুদ্ধ বন্ধের পর দাম কমেছে। ইমিডিয়েটলি আমরা রিটেন্ডার করে ৫ থেকে ১০ ডলার কম পেয়েছি। সেখানে প্রায় ৭০-৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। এটা এনার্জি মিনিস্ট্রির একটা ক্রেডিট। মরক্কো, তিউনিশিয়া থেকে আসা সারের দাম কিছুটা বেড়েছে। এখানে কোনো উপায় ছিল না।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সর্বমোট ৭টি প্রস্তাব উপস্থাপিত হলে সবকয়টি প্রস্তাবই অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ৩টি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাব রয়েছে।
জানা গেছে, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে "পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮"-অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১(এক) কার্গো (২৮-২৯ জুলাই ২০২৫ সময়ের জন্য ৩২তম) এলএনজি (তরলীকরণ প্রাকৃতিক গ্যাস) আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে এই এলএনজি কিনতে ব্যয় হবে ৫৬৯ কোটি ২৯ হাজার ৩৬৩ টাকা৷ প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১৩.৫২ মার্কিন ডলার।
গত ১৭জুন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো (১৫-১৬ জুলাই ২০২৫ সময়ে ৩০তম) এলএনজি আমদানির প্রত্যাশাগত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মেসার্স টোটালএনির্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লি. ইউকে -এর কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ ১৫.১৭ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি ৬২১ কোটি ৮৪ লাখ৮৬ হাজার ৪০০ টাকায় ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জিসিজি/জেএইচ