ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নির্ধারিত সময়ে ডিএসইতে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু হচ্ছে না

এসএম গোলাম সামদানী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১০
নির্ধারিত সময়ে ডিএসইতে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু হচ্ছে না

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)-এ বহুল প্রতীক্ষিত ইন্টারনেট ট্রেডিং নির্ধারিত সময়ে চালু করা যাচ্ছে না। বিদেশ থেকে যথা সময়ে প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার আনতে না পারাই এর কারণ।



তবে হার্ডওয়্যার এরই মধ্যে নিয়ে আসা হলেও আগামী মার্চ মাসের আগে এ ট্রেডিং চালু হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, আগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ডিএসইতে এটি চালুর কথা ছিল।

এ ব্যাপারে ডিএসই’র সভাপতি শাকিল রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, ‘টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে যথাসময়ে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু করা যাচ্ছে না। প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার আনতে দেরি হওয়ায় ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু করতে আরও ২/৩ মাস সময় লাগবে। ’
 
তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট ট্রেড চালু হলে বাজার আরও দ্রুত সম্প্রসারিত হবে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো। এটি চালু হলে আরও বেশি সংখ্যক বিনিয়োগকারী ট্রেড করা সুযোগ পাবে।

তবে শেয়ারের সরবরাহ না বাড়ালে বাজার আরও ঝুঁকিপূর্ণ হবে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
 
এর আগে ২০০৯ সালের ৩ নভেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই‘র তৎকালীন সভাপতি মো. রকিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ডিএসইতে ইন্টারনেট ট্রেড চালু করা হবে।

সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হয়। এরই অংশ হিসেবে ভারতের মাদ্রাজভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানি কেপব্রিজ সলিউশন’র সঙ্গে গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ডিএসই একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। কেপব্রিজের সহায়তায় ডিএসই’র সফটওয়্যার আপগ্রেডও করা হয়।
 
চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ডিএসই-তে ইন্টারনেট ট্রেড চালু হওয়ার কথা ছিল।

গত জুলাই মাসে সেটি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছিলেন ডিএসই‘র বর্তমান সভাপতি শাকিল রিজভী ও সাবেক সভাপতি মো. রকিবুর রহমান এবং ডিএসই‘র আইটি বিভাগের প্রধান।
 
তবে বাংলানিউজ’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেকনিক্যাল সমস্যা ছাড়াও গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজার উর্ধ্বমুখী থাকায় ডিএসই এ মুহূর্তে ইন্টরনেট ট্রেড চালু করতে যাচ্ছে না।

বাজারে শেয়ারের সরবরাহ না বাড়িয়ে ইন্টারনেট ট্রেড চালু করা হলে বাজার আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়তে পারে-এ আশঙ্কাই বড় হয়ে ওঠে।
   
উল্লেখ্য, ইন্টারনেট ট্রেড চালু হলে দেশ বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিনিয়োগকারীরা সহজেই শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। এতে করে বিনিয়োগকারীরা ব্রোকারেজ হাউসে উপস্থিত না হয়ে ঘরে বসেই শেয়ার ব্যবসা করতে পারবেন।

এছাড়া পুঁজিবাজারে প্রবাসী বিনিয়োগ সহজ হয়ে পড়বে এবং বাজার আরও দ্রুত সম্প্রসারিত হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।