ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩৫.৮০ শতাংশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১০

ঢাকা: ২০১০-১১ অর্থ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি হয়েছে।

অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে রপ্তানি হয়েছে ৮২৭ কোটি ৫২ লাখ ডলার।

গত বছরের একই সময়ের রপ্তানি আয় ছিল ৬০৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এ প্রবৃদ্ধি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসের জন্য সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সর্বশেষ গত নভেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছে ১৫৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই মাসের তুলনায় ২৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। ২০০৯ সালের নভেম্বরে রপ্তানি আয় হয়েছিল ১১৯ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান প্রধান রপ্তানি পণ্যগুলোতে রপ্তানি আয় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৫৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া নিটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রায় ২৮৮ কোটি ৪৪ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া ওভেন গার্মেন্টসে ৩৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ, প্রায় ৪৩ কোটি ৪৬ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া পাট ও পাটজাত দ্রব্যে ৪৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ২২ কোটি ৪২ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া হোম টেক্সটাইলে ৭২ দশমিক ১২ শতাংশ, ২৬ কোটি ৬২ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া হিমায়িত খাদ্যে ৪০ দশমিক ৩০ শতাংশ, ১০ কোটি ৯৮ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া চামড়া খাতে ২৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ১৬ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হওয়া কৃষিজাত পণ্যে ২০ দশমিক ৫৪ শতাংশ, দুই কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া প্লাস্টিক পণ্যে ৩৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, ২ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া চামড়াজাত পণ্যে ১৭৩ দশমিক ২০ শতাংশ, ১ কোটি মার্কিন ডলার আয় হওয়া ঘড়ি ও ঘড়ির যন্ত্রাংশ খাতে ১৭১ দশমিক ২৭ শতাংশ, ১১ কোটি ৮৯ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া ফুটওয়্যার খাতে ৪৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, দেড় কোটি মার্কিন ডলার আয় হওয়া সিরামিকখাতে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, ৮৫ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া কম্পিউটার সেবাখাতে ১১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ১ কোটি ৬৪ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া বৈদ্যুতিক পণ্যখাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪৫ দশমিক ২১ শতাংশ।

যেসব পণ্যে রপ্তানি আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কম হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে চা আট লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হওয়া চা শিল্পে ৬৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, তিন কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া রাসায়নিক পণ্যে ২৮ দশমিক ০৩ শতাংশ, চার কোটি চার লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া বাইসাইকেলখাতে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ৬.৩ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া আসবাবপত্রখাতে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, ১১ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া প্রকৌশলপণ্যে ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ১ কোটি ৭.৫ লাখ মার্কিন ডলার আয় হওয়া ওষুধখাতে ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ কমেছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার ৭৬০ কোটি মার্কিন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি আয় হয়েছিল এক হাজার ৬২০ কোটি ৪৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এ পরিমাণ ২০০৮-০৯ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের চেয়ে (এক হাজার ৫৫৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) ৪ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। এবছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৮৫০ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত অর্থবছরের প্রকৃত রপ্তানি আয়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি।

বাংলাদেশ সময় ২০১০ ঘণ্টা, ০৫ ডিসেম্বর, ২০১০                                                             

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।