ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের জন্য এ অর্থবছরে সেচসহ কৃষি উপকরণের ভর্তুকিখাতে ৪শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদে আমিনা আহমেদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় গত অর্থ বছরে বোরো মৌসুমে ডিজেলের মাধ্যমে সেচ কাজে ৬৪ জেলায় নগদ সহায়তা হিসেবে প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের ৭শ’ ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রাবার ড্যাম নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
বেগম সানজিদা খানমের এক প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন নিরুৎসাহিত করতে ও পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রথমবারের মতো সারা দেশে ৩৭টি ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চলতি ২০১০-২০১১ সেচ মৌসুম থেকে ৩ বছর মেয়াদী আরো ২৯টি কর্মসূচির অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নতুন প্রযুক্তি নির্ভর রাবার ড্যামের মাধ্যমে ভূউপরিস্থ পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে সেচ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘ভূ-পৃষ্ঠের প্রাকৃতিক পানি সেচে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য পার্বত্য জেলাগুলোতে ঝিরি বাঁধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সেচ কার্যক্রম ও মৎস চাষ সাফল্যের সাথে সম্পাদন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০২টি ঝিরিবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে এবং ১০০টি ঝিরিবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ’
এছাড়া আব্দুল মমিন তালুকদার, আনোয়ার হোসেন, মুহিবুর রহমান মানিক, লিলি চৌধুরী, নুর-ই-হাসনা প্রমুখের প্রশ্নের জবাব দেন মতিয়া চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১১