ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভারতে তেল পাচার!

শার্শার পাম্পগুলোতে সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে পদ্মা-মেঘনা

বেনাপোল প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১১

বেনাপোল: ভারতে জ্বালানী তেল পাচার হয়ে যাচ্ছে এই আশংকায় বেনাপোল সীমান্তসহ শার্শার তেল পাম্প গুলোতে (ফিলিং স্টেশন) চাহিদার তুলনায় এক তৃতীয়াংশ ডিজেল সরবরাহ করছে বিভিন্ন তেল কোম্পানি।

রোববার থেকে এসব পাম্পে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়াতে বিপাকে পড়েছেন তেল ব্যবসায়ীরাসহ সীমান্তের বিভিন্ন দুরপাল্লার পরিবহন ও অন্যান্য যানবাহন মালিকরা।



বেনাপোল ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার সেলিম হোসেন বাংলানিউজকে জানান, তার মালিকের (আব্দুল লতিফ অ্যান্ড কোং) বেনাপোলে ২টি, নাভারনে ১টি, বাগআঁচড়ায় ১টি ও মংলায় একটি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। প্রতিদিন এই ৫টি পাম্পে ৫ ট্যাংকার অর্থাৎ ৪৫ হাজার লিটার ডিজেলের চাহিদা রয়েছে। এসব ফিলিং স্টেশন থেকে বিভিন্ন যানবাহনের পাশাপাশি কৃষকরাও ডিজেল কেনেন সেচ যন্ত্র চালানোর জন্য।

কিন্তু রোববার এই ৫টি পাম্পের চাহিদা ৪৫ হাজার লিটার ডিজেলের বিপরীতে মেঘনা অয়েল থেকে পাওয়া গেছে মাত্র ১৮ হাজার লিটার। যা আসার সাথে সাথে বিক্রি হয়ে গেছে।

অনুরূপভাবে বেনাপোলের হক ফিলিং অ্যান্ড সার্ভিস সেন্টার ও মিলন অ্যান্ড ব্রাদার্স যমুনা অয়েল থেকে এবং শাহা জালাল ফিলিং স্টেশন পদ্মা অয়েল থেকে চাহিদার তুলনায় সামান্য ডিজেল পেয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে দুপুরের পরপরই এসব পাম্পে ‘ডিজেল নাই’ লেখা কাগজ টাঙিয়ে দেওয়া হয়।

তেল ব্যবসায়ীরা জানান, শনিবার পাম্পগুলোতে অডিট করার পর রোববার থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়।
 
শাহাজালাল ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার শংকর কুমার বলেন, ‘আমার পাম্প থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজসহ বিভিন্ন পরিবহন তেল নিয়ে থাকে। অনেককে তেল দিতে না পেরে বিব্রত অবস্থায় পড়েছি। আমার প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ হাজার হাজার লিটার তেল চাহিদা রয়েছে। রোববার পেয়েছি মাত্র ৪ হাজার লিটার। ভারতে তেল পাচার হচ্ছে এমন আশংকায় কর্তৃপ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তিনি জানান।

তবে এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে পদ্মা বা মেঘনা কর্তৃপরে কাউকে পাওয়া যায়নি।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘বেনাপোল থেকে ভারতে কোনও তেল পাচার হচ্ছে না।
 
এ ব্যাপারে ২২ বর্ডার গার্ড বিজিবির বেনাপোল চেকপোস্ট ক্যাম্প ইনচার্জ লিয়াকত আলী জানান, ‘বেনাপোল বা শার্শার কোনও সীমান্ত দিয়ে তেল পাচার হচ্ছে না। এ রকম কিছু ঘটলে তার কবর অবশ্যই আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের আগে জানতে পারতেন। ’

তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ৬ মাসে সীমান্ত এলাকা থেকে তেল পাচার বা আটকের কোনও সংবাদ আমাদের জানা নেই। তবে সীমান্ত দিয়ে তেল পাচার রোধে আমরা সতর্ক আছি। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১১      

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।