ঢাকা: গেল বছরে গ্রামীণফোন সাত হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা ২০০৯ সাল থেকে ১৪.৪ শতাংশ বেশি।
সরকারি কর ও অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে গ্রামীণফোন নিট মুনাফা করেছে এক হাজার ৭১ কোটি টাকা।
গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভয়েস ও ইন্টারকানেকশন রাজস্ব বাড়ায় এবং গ্রামীণ ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট, ইন্টারনেট মোডেম থেকে রাজস্বের কারণে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর শেরাটন হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের ২০১০ সালের অর্থনৈতিক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
২০০৯ সালে গ্রামীণফোন ছয় হাজার ৫৩০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছিল।
২০১০ সালে গ্রামীণফোন সিম ট্যাক্সবাবদ ৬৮০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার রায়হান শামসী।
রায়হান শামসী জানান, ২০১০ সালে গ্রামীণফোন তার নেটওয়ার্কের মানোন্নয়ন, ডাটা ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে এর আধুনিকায়নে ৮৪৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি ২০১০ সালে সরকারি কোষাগারে তিন হাজার ৭১৫ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ২০১০ সালে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে ৬৭ লাখ। এর ফলে গ্রামীণের গ্রাহকসংখ্যা প্রায় শতকরা ৪৪ ভাগে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ওদভার হেশজেদাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গ্রামীণফোনের রাজস্ব ও গ্রাহকসংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সাল ছিল একটি স্মরণীয় বছর। ’
তিনি বলেন, ‘সিম ট্যাক্স এখনো এই শিল্পের প্রবৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে আছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স নবায়ন ফি এবং স্পেকট্রামের যে অবিশ্বাস্য উচ্চ মূল্য প্রস্তাব করেছে তা বিস্ময়কর। এতে করে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবসা ও শেয়ারহোল্ডারদের ভবিষ্যৎ লভ্যাংশ অনিশ্চিত হবে। ’
ওদভার বলেন, ‘আমরা যদি এই খাতে উপযুক্ত পরিবেশ পাই তবে গ্রাহকসংখ্যা দ্বিগুণ হবে। এতে এই শিল্প যেমন সমৃদ্ধ হবে তেমনি সরকারও লাভবান হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১১