ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পে-কমিশনের প্রতিবেদন রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৪
পে-কমিশনের প্রতিবেদন রোববার

ঢাকা: রোববার (২১ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা হচ্ছে ‘বেতন ও চাকুরি কমিশন ২০১৩’ এর রিপোর্ট। সংযোজন-বিয়োজন শেষে আগামী বছরের জুলাই থেকে কার্যকর হতে পারে বলে জানা গেছে।



সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে ১৭ সদস্যের এ কমিশন গঠন করা হয়।

কমিশনের ছয় মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলে পরে আরও ছয় মাস বাড়িয়ে এক বছর করা হয়।

নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়িত হলে ১৩ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এর আওতায় আসবেন। এর মধ্যে চাকরিতে সক্রিয় রয়েছেন প্রায় ১১ লাখ। আর দু’ লাখ অবসরকালীন হিসেবে এ সুবিধার আওতায় চলে আসবেন।

সর্বশেষ ২০০৭ সালে সপ্তম পে-কমিশন গঠন করা হয়। যার রিপোর্টের ভিত্তিতে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে সর্বশেষ সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়।

সূত্র জানিয়েছে, কমিশন বিদ্যমান বেতন কাঠামো ২০টি ধাপ থেকে কমিয়ে ১৬টি করার সুপারিশ করা হয়েছে।   প্রথম ধাপে রয়েছেন সিনিয়র সচিব ও সচিবরা। সিনিয়র সচিবদের বেতন-ভাতা বিদ্যমান ৪২ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ হাজার টাকা, সচিবদের ৪০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮০ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হচ্ছে।

বর্তমান কর্মচারীদের বছরে বেতন-ভাতা বাবদ ৩৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। কমিশনের প্রস্তাবিত রিপোর্ট বাস্তবায়ন করতে হলে ৬০ হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন পড়বে জানা গেছে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি এক সভায় বলেছেন, রিপোর্ট পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে যাবে মন্ত্রিসভায়। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিলে পাসের জন্য সংসদে তোলা হবে।

আগামী বছরের জুলাই থেকে নতুন বেতন স্কেল বাস্তবায়নের কথাও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।