ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শিক্ষার ‘প্যাটার্নে’ আটকা উদ্যোক্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪
শিক্ষার ‘প্যাটার্নে’ আটকা উদ্যোক্তা ছবি: রহমত উল্যাহ/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে বর্তমান শিক্ষার প্যাটার্নের (ধরন বা প্রকার) পরিবর্তন করতে না পারলে দেশে কোনো নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে না।
 
শিক্ষার বর্তমান অবস্থা চলতে থাকে তাহলে আগামী ১০ বছরে দেশের অনেক কোম্পানির সিইও পদ বিদেশিদের হাতে চলে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বক্তারা।


 
রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ছায়ানটে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের ৩০ বছর উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানের ত্রিপাক্ষিক মঞ্চে বক্তারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
 
‘উন্নয়নে জনকেন্দ্রিক বিকল্পের সুযোগ ও ক্ষেত্র: দারিদ্র্য, অন্যায্যতা ও অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ৩০ বছরের লড়াই’ শীর্ষক ত্রিমাক্ষিক মঞ্চ অনুষ্ঠিত হয়।
 
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উদ্যোক্তাবান্ধব নয় বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ূন রশীদ।
 
রশীদ বলেন, দেশে বর্তমানে সর্বক্ষেত্রে কর্মসংস্থান প্রয়োজন আর রাষ্ট্রকে এ ব্যবস্থা করে দিতে হবে। বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষার জন্য সামাজিক পরিবেশ দায়ী।
 
তিনি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, টেক্সটাইল খাতে প্রচুর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। সামাজিক শিক্ষার কারণে আমরা টেক্সটাইল খাতে ছেলে-মেয়েকে শিক্ষা দিচ্ছি না।
 
যদি বর্তমান শিক্ষা অব্যাহত থাকে তাহলে আগামী ১০ বছরে হয়তো বড় বড় কোম্পানির সিইও পদ বিদেশিদের হাতে চলে যাবে।
 
কৃষির পাশাপাশি আন্যান্য ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরিতে রাষ্ট্রকে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া ও সে অনুযায়ী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। কেন কৃষিভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে না, চাকরি প্রার্থী চাকরি তৈরি করছেন না বলেও প্রশ্ন করেন তিনি।
 
কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে হুমায়ূন রশীদ বলেন, গার্মেন্টসের কমপ্লায়েন্স ইস্যুটা আরো বেশি উঠে আসছে। মালিক বনাম শিল্প উদ্যোক্তা গ্যাপ কমিয়ে আনতে হবে। সরকার পলিসি নিয়ে আসলে এ গ্যাপ কমে আসবে, তৈরি হবে উদ্যোক্তা।
 
এছাড়া আইন প্রণয়ন করে প্রয়োগ করতে হবে। শিল্প উদ্যোক্তাদের এজন্য রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স, সেফটি কমপ্লায়েন্স বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।
 
সংসদ সদস্য শিরীন আক্তার বলেন, আমাদেরকে পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের আগামী ৩০ বছরের পরিকল্পনা করতে হবে। আমাদের কোন কোন ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে হবে তা বিবেচনা করতে হবে।
 
সবার ক্ষেত্রেই কমপ্লায়েন্স জরুরি। পশ্চিমা দেশগুলো চাচ্ছে, কমপ্লায়েন্স ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশের শিল্প অন্য দেশে চলে যাক।
 
অ্যাকশনএইড, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সঞ্চালনায় ত্রিপাক্ষিক মঞ্চে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, আচিক মিচিক সোসাইটি নির্বাহী প্রধান সুলেখা দ্রং, তৃণমূল নারী নেত্রী হাওয়া বেগম, কেন্দ্রীয় কৃষক মৈত্রীর সভাপতি মনির হোসেন এতে বক্তব্য রাখেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।