ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দর্শনার্থীর ঢলে বিক্রেতাদের স্বস্তি

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫
দর্শনার্থীর ঢলে বিক্রেতাদের স্বস্তি ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) শুরু হয়। গেল সপ্তাহ পর্যন্ত বিক্রেতারা একরকম অলস সময় কাটান।



তবে ক্রেতা না পাওয়ার সে খরা কেটেছে শুক্রবার। দর্শনার্থীদের ঢলে যেন তিল ধরার ঠাঁই নেই মেলায়। মেলাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, আগারগাঁও ও খেজুরবাগানসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ভিড়ের কারণে টিকিট কাউন্টারে এক ধরনের ভোগান্তিতে পড়ছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে সময় নিয়ে পছন্দমতো পণ্য কিনতে পারছেন না পারেননি ভিড়ের কারণে।

নগরীর বাড্ডা থেকে মেলায় এসেছেন ইলিয়াস হোসাইন ও সুমি খান। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন ৫ বছরের শিশু সুমনকে। ইলিয়াস বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চার জন্য কিছু খেলনা কিনতে হবে কিন্তু মানুষের চাপে পছন্দ করার উপায় নেই। অনেক স্টলে আবার প্রবেশ করা যাচ্ছে না। ’
 
অধিক ভিড়ে দর্শানার্থীদের ভোগান্তি হলেও স্বস্তি ফিরে এসেছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোতে। রেস্তোরাঁ গুলোতেও তিল ধরার ঠাঁই নেই।

মেলায় মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক, ইলেট্রনিকস, পাটজাত পণ্য, লেদার, লেদার অ্যান্ড গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ঘড়ি, জুয়েলারি, সিরামিকস, দেশীয় বস্ত্র, ক্যাবল, মোবাইল, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, আসবাবপত্র ও হস্তশিল্পসহ সব পণ্যের বিক্রির হার ভালো।

মেলায় প্রাণ এর প্যাভিলিয়ন ও স্টলে গিয়ে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়। প্রাণের সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ রাকসান জামাল বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই মেলায় প্রচুর ভিড়। সরকারি ছুটি হওয়ায় এমনটি হয়েছে। হরতাল না থাকায় ক্রেতারা মনের আনন্দে মেলায় এসেছেন। ’

অনেক স্টল ঘুরে জানা গেছে, এবার মেলায় শুরু হওয়ার পর থেকে এতো দর্শনার্থী কেউ দেখেনি।

টার্কিস প্যাভিলিয়নের সেলস ম্যান নান্নী আরিফ বাংলানিউজকে বলেন, আমার চোখে এত দর্শনার্থী চোখে পড়েনি। গত সপ্তাহে যা বেচাকেনা করেছি আমার বিশ্বাস শুক্রবারে তার সমপরিমাণ হবে। ’

সামনের দিনগুলোতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি সামনের দিনে ভালো থাকে তবে বেচাকেনার ক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণ হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

নাভানা গ্রুপের অ্যাসিসট্যান্ট ম্যানেজার (সেলস) সীমা রাই বলেন, আজকের মতো যদি সামনের দিনে বেচাকেনা হয় তবে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। আজকের মতো এতো দর্শনার্থীর চাপ গত ১৬ দিনে চোখে পড়েনি। একদিকে সরকারি ছুটি অপরদিকে হরতাল না থাকায় ক্রেতা সমাগম হয়েছে। ’

মেলার মধ্যে প্রতিটি স্থানই ক্রেতা ঢল নেমেছে। এছাড়া মেলায় প্রবেশ করার জন্য বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকেই সারিবন্ধ মানুষের মিছিল।

এ সময় কথা হয় উত্তরা থেকে আসা ক্রেতা হয় আফসান স্বাধীন ও শৈলীর  সঙ্গে। আফসান বাংলানিউজকে বলেন বলেন, মেলায় শুরু হয়েছে দুই দলের রেশারেশির মধ্য দিয়ে। তবে আজকের পরিস্থিতি সেই তুলনায় ভালো। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় কিছু কেনাকানাটর জন্য মেলাগামী হয়েছি। ’

ভারত, পাকিস্থান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানির বড় প্যাভিলিয়নগুলোতেও ক্রেতা ঢল। শুক্রবার দর্শনার্থীদের ভিড় বেশী হওয়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো।

বংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫

** মাত্র ৭ লাখ ২৫ হাজারে ন্যানো ফ্যামিলি কার!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।