ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অবরোধ-হরতালের জের

পোল্ট্রিখাতে ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫
পোল্ট্রিখাতে ক্ষতি ৬০০ কোটি টাকা ছবি: কাশেম হারুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, লাগাতার অবরোধ ও হরতালের ফাঁদে পড়ে পোল্ট্রি শিল্প ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছে।

সর্বশেষ, শুধুমাত্র উৎপাদনজনিত এ ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।

এভাবে চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। এর সঙ্গে যানবাহন এবং আনুষঙ্গিক ক্ষতিসহ গত ১৪ দিনে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা।

রোববার সকাল ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোল টেবিল মিলনায়তনে ‘চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় পোল্ট্রিশিল্প সংকটে’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেসে লিখিত বক্তব্যে এ সব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

পোল্ট্রি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সাতটি অ্যাসোসিয়েশনের এপেক্স বডি বাংলাদেশ পোল্ট্রিশিল্প সমন্বয় কমিটির (বিপিআইসিসি) উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
 
শুরুতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিপিআইসিসি’র আহ্বায়ক মসিউর রহমান।
 
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, পোল্ট্রিশিল্প অন্যান্য শিল্প থেকে আলাদা। চাইলেই উৎপাদন বন্ধ রাখা যায় না। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২ কোটি ডিম এবং এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন মুরগির মাংস উৎপাদন হয়।

প্রতি সপ্তাহে একদিন বয়সী বাচ্চা উৎপাদিত হয়, প্রায় এক কোটি ১০ লাখ। কিন্তু অবরোধ-হরতালে এ সব মুরগির ডিম, বাচ্চা ও মাংস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে, ভয়াবহ আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন এ খাতে নিয়োজিত মালিক-শ্রমিক ও তাদের পরিবার-পরিজনেরা।  
 
মসিউর রহমান বলেন, গত ১৪ দিনে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি ডিম, সাত হাজার মেট্রিক টন মুরগির মাংস এবং ৯৯ লাখ একদিন বয়সী মুরগির বাচ্চা বাজারজাত করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, এ কয়েকদিনে শুধু ডিম উৎপাদনকারী খামারিদের ৪৭ কোটি টাকা, মুরগির মাংস উৎপাদন খাতে ৭৯ কোটি টাকা এবং একদিন বয়সী বাচ্চা উৎপাদন খাতে ৩৫ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
 
প্রতিদিন ফ্যাক্টরিতে উৎপাদিত ফিডের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেট্রিক টন। বিগত ১৪ দিনে ‍উৎপাদন চাহিদা ছিল, প্রায় ৯১ হাজার মেট্রিক টন। এ খাতে লোকসান হয়েছে, ৭৩ কোটি টাকা। আর ওষুধখাতে লোকসান হয়েছে, ২০ কোটি টাকা।

তিনি জানান, বিক্রি করতে না পেরে প্রতিদিন প্রায় ২২ লাখ বাচ্চা মেরে ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন উৎপাদনকারীরা।
 
সবশেষে, পোল্ট্রি খাতকে ফের সচল করতে চারটি দাবি তুলে ধরা হয় মিট দ্য প্রেসে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি ফজলে রাব্বি খান, বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. এম এম খান প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।